এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারীরাও
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। লিঙ্গ সমতার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি
শাহনাজ বেগম : যোগ্যতা প্রমাণে, শান্তির পথে, মানবতার পথে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সারা বিশ্বে নারীরা এখন অনেক এগিয়ে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন এখন একটি অন্যতম আলোচিত বিষয়। পারিবারিক ও সামাজিক পরিম-ল ছেড়ে রাজনীতির জটিল ক্ষেত্রেও তাদের অবদান লক্ষণীয়। ‘মেয়েরা পুরুষের দাসী হবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম, মেয়েরা আমাদের সম্পত্তি গাছের ফল যেমন বাগানের মালিকের সম্পত্তি’ স¤্রাট নেপোলিয়ানের সেই কথাটা এ যুগের মেয়েদের ক্ষেত্রে কার্যত চোখে পড়ে না। বিশ্বের অন্য দেশের মত বাংলাদেশের নারীরাও তাল মিলিয়ে চলছে। নারী কেবল আন্তর্জাতিক পরিসরে নয়, বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পরিসরে যে কোনো নীতি নির্ধারণী আলোচনায় বা সমস্যা সমাধানে তাদের ক্ষমতায়নকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশেই নারীরা তাদের আধিপত্ত বিস্তার করেছেন। ২০১৬ সালে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচিত কয়েকজন নারী।
শেখ হাসিনা
বিশ্বের অন্যতম মহীয়সী নারী নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের ১০ম জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় নেতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালে ড. ওয়াজেদ মিয়ার সাথে তাঁর বিয়ে হয়। ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ বাংলাদেশেল নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৯১ সালে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের তৎকালীন বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে প্রকাশ পায়। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জাতির জনক, যিনি ১৯৭৫ সালে হত্যাকা-ের শিকার হন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা গত বছরে বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান ৩৬ নম্বরে। সেরা তালিকার মধ্যদিয়ে আবারও প্রমাণ হলো জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু একজন সুদক্ষ রাষ্ট্র্রনায়কই নন, তিনি অন্যতম বিশ্বনেতা।
পার্ক জিউন-হাই
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই। দক্ষিণ কোরিয়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ পার্ক ২০১২ সালের ১৯ ডিসেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরূপে অংশগ্রহণ করেন। এ নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পার্ক সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং-হির জ্যেষ্ঠা কন্যা। তিনি ১৮ বছর ধরে দেশের শাসনভার সামলেছেন। চুং-হি ১৯৭৯ সালে খুন হন। বাবার মৃত্যুর পর বান্ধবী চই সুন-সিলের বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তার। তারও আগে খুন হন তার মা। অনাথ পার্ক জিউন-হাইয়ের অভিভাবকের মতো ছিলেন চইয়ের বাবা চই তাইমেন। চইয়ের পরিবারের প্রতি তিনি নানাভাবে কৃতজ্ঞ, তা একাধিক বার স্বীকারও করেছেন পার্ক। পার্ক কোরিয়ার জাতীয় পরিষদে ১৯৯৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত চার মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন। গত বছর দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে দেশটির প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইয়ের বিরুদ্ধে। নিজের বান্ধবী ও দীর্ঘদিনের সঙ্গী চই সুন-সিলকে সরকারের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে শামিল করতেন পার্ক জিউন-হাই। আপাতত ক্ষমতা থেকে সরানো হলেও তার সরকার বাতিল করা হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সাংবিধানিক আদালত।
অং সান সু চি
মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে জনপ্রিয় অং সান সু চি। শান্তিতে নোবেল জয়ী মিয়ানমারের এই সর্বোচ্চ নেতা দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। রাজনীতিবিদ নন, সাধারু গৃহবধূ হিসেবেই জীবন শুরু করেছিলেন সু চি। ব্রিটিশ নাগরিক মাইকেল অ্যারিসকে বিয়ে করেন ১৯৭১ সালে। দুই সন্তানের জননী সু চি মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দেখতে ছুটে আসেন দেশে। তখন দেশজুড়ে চলছিল গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন। সেই আন্দোলন থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পারেননি নিজেকে। গঠন করলেন এনএলডি-ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি। রাজনৈতিক দল গঠন করে মুহূর্তেই চক্ষুশূলে পরিণত হলেন সামরিক জান্তার। ১৯৮৯ সালে গৃহবন্দী করা হলো তাকে। পারিবারিক জীবনেরও সমাপ্তি ঘটল সেখানেই। এরপর প্রায় দুই দশক গৃহবন্দী ও কারাগারে কাটালেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে শেষ দেখা ১৯৯৫ সালের বড়দিনে হলেও ছেলেদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এর চার বছর পর স্বামী মারা যান। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে বন্দীজীবনকেই বেছে নেন তিনি।
হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন
মার্কিন রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য এবং নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার সিনেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়নপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সারা বিশ্বেই বছরজুড়ে হিলারি ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তিনি নিউইয়র্ক প্রাইমারিতে সহজেই বিজয়ী হন। নির্বাচনে পপুলার ভোটে এগিয়ে থাকা সত্বেও ইলেক্টোরাল ভোটে পরাজিত হন ডোনাড ট্রাম্পের কাছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হিলারি। রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বে হিলারি আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। হিলারি ক্লিনটন ইলিনয় রাজ্যের শিকাগোতে ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। হিলারি রডহ্যাম ১৯৭৫ সালের অক্টোবর মাসে যখন বিল ক্লিনটনকে বিয়ে করেন, তখন পশ্চিমা দেশের প্রথামত তিনি স্বামীর পদবী গ্রহণ করেননি। তবে কিছুদিন পর বিল ক্লিনটন যখন রাজনৈতিক পদ গ্রহণ করেন তখন মিসেস ক্লিনটনের নাম হয় হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন। ১৯৯৭ সালে হিলারি ক্লিনটন আমেরিকার সেরা সঙ্গীত পুরস্কার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। এটা ছিল নন-মিউজিক্যাল ক্যাটেগরিতে।
আমিনা গারিব-ফাকিম
ভারত মহাসাগরের দ্বীপদেশ মরিশাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী আমিনা গারিব-ফাকিম। দেশটিতে ৫৪ শতাংশ লোক হিন্দু আর ৩২ শতাংশ খ্রিস্টান। পার্লামেন্টে আমিনা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী অনিরুদ জাগনাথ সাংবাদিকদের বলেন, আমি সর্বদায় পুরুষ ও নারীর সমতায় বিশ্বাসী। ঐতিহাসিক এই পরিবর্তনের অংশ হতে পেরে আমি খুই গর্বিত। আমিনা- এই পদটির জন্য যথার্থই যোগ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন। আমিনাকে শুভেচ্ছা জানান দেশটির পার্লামেন্টের প্রথম নারী স্পিকার মায়া হানুমানজি। তিনিও বলেন, মরিশাসের ইতিহাসে এটাই প্রথম ঘটনা যে, এই পদে একজন নারী আসীন হলেন। ভোটে বিরোধীরাও তাকে সর্বসম্মতিভাবে সমর্থন জানিয়েছেন।
সেভিল সাইদেহ
রুমানিয়ার সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের এক নারী হতে পারেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলে গত বছরের শেষে আলোচনায় আসেন। রুমানিয়ার বামপন্থী দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিএসডি) প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য এই মুসলিম নারীর নাম প্রস্তাব করে। তাঁর নাম সেভিল সাইদেহ (৫২)। তিনি এর আগে বামপন্থী নেতৃত্বাধীন সরকারে আঞ্চলিক উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী পদে চূড়ান্ত নিয়োগ পেতে হলে তাঁকে প্রথমে প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইওহান্নিসের অনুমোদন এবং পরে সংসদের আস্থা লাভ করতে হবে। রুমানিয়ায় গত ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত দু’কক্ষবিশিষ্ট সংসদের নির্বাচনে পিএসডি ও এএলডিই জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়। ২০১১ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন সিরীয় বংশোদ্ভূত কন্সালট্যান্টের সঙ্গে বিয়ে হয় সাইদেহর।
দিলমা রুসেফ
বাষট্টি বছর বয়সি বামপন্থী রাজনীতিক ডিলমা রুসেফ ছিলেন ব্রাজিলের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। মার্কিন ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় বিশ্বের ১৬তম ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে উঠে এসেছেন তিনি। গত বছরের শেষের দিকে রুসেফ বরখাস্ত হন। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়ে উঠেন রুসেফ। তাঁর বাবা ছিলেন বুলগেরিয়ান বংশোদ্ভূত একজন কবি এবং ব্যবসায়ি। মা ব্রাজিলেরই স্কুল শিক্ষিকা। ক্যাথলিক স্কুলের কঠোর পরিবেশ তাঁকে ক্ষুব্ধ করে। ১৯৬৪ সালে ব্রাজিলে শুরু হয় সামরিক স্বৈরশাহী। চলে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত। মত্র সতেরো বছর বয়সেই দিলমা যোগ দেন একটি মার্কসবাদী গ্রুপে। গেরিলার প্রশিক্ষণ নেন। ফলে নজরদারী পুলিশের চোখ পড়ে তাঁর ওপর। ১৯৬৯ সালে আত্মগোপন করেন তিনি। এক পর্যায়ে আটক হন দিলমা এবং ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ দুবছর তাকে জেল খাটতে হয়। সহ্য করতে হয় নির্যাতন। এরপর নতুন করে শুরু হয় পড়াশোনা। ১৯৭৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডিগ্রি লাভ করেন।
মিশেল ওবামা
মিশেল হলেন একজন আমেরিকান আইনজীবী ও লেখক এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এর সহধর্মিণী এবং যুক্তরাষ্ট্রের পথম আফ্রিকান-আমেরিকান ফার্স্ট লেডি। টানা দুই মেয়াদে নির্বাচিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ফার্স্ট লেডি হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান মিশেল ওবামা। দুই সন্তান মালিয়া, শাশা। পুরো সময়টি হোয়াইট হাউজের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে মিশেল ওবামার। এবারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে শেষ হবে মিশেলের ফাস্ট লেডির বর্ণাঢ্যময় জীবনের। প্রবেশ করবেন নতুন জীবনে। হোয়াইট হাউজের বর্ণনা নিয়ে তৃতীয়বারে মতো প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ‘ভৌগ’ ম্যাগাজিন। এতে দেখা যায় মিশেল ওবামা হোয়াইট হাউজের সাউথ লনের বাগানে শায়িত অবস্থায় আছেন। তার চুল খোলা। ফুলের বাগান পাশে। তিনি বাম হাতের ওপর ডান হাত রেখে হাসছেন। এই প্রচ্ছদের পরেই ম্যাগাজিনটির ভিতরে তিনি বর্ণনা করেছেন হোয়াইট হাউজের ভিতরকার জীবনের নানা ঘটনা।
ডোরিস লইথর্ড
সুইজারল্যান্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোরিস লইথর্ড। ২০১৭ সালের জন্য সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন লইথর্ড। দেশটির সাত সদস্যের ফেডারেল কাউন্সিল থেকে পর্যায়ক্রমে এক বছরের জন্য একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
মিশেল বাশেলেট
২০০৬-১০ প্রথম মেয়াদে চিলির প্রেসিডেন্ট ছিলেন মিশেল বাশেলেট। দেশটির প্রথম নারী হিসেবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন শেষে যোগ দেন জাতিসংঘে। নারীর ক্ষমতায়ণ ও সমঅধিকার বিষয়ক বিশেষ কমিশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন টানা ৩ বছর। নিউইয়র্কে কর্মস্থল হবার সুবাদে স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোমেনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ঘিরে মিশেল বাশেলেটের আগ্রহের সূচনাটা সেখান থেকেই
বিদ্যা দেবী ভান্ডারি
নেপালের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। নেপালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন পার্লামেন্টের প্রথম নির্বাচিত নারী স্পিকার ওনসারি ঘারতি মাগার। ২৮ অক্টোবর ২০১৫, নেপালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিপক্ষ নেপালি কংগ্রেস দলের কুল বাহাদুর গুরুংকে পরাজিত করে তিনি জয়লাভ করেন। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফাইড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট)-এর ভাইস চেয়ারপার্সন বিদ্যা দেবী ভান্ডারি এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নেপালের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আঙ্গেলা ম্যার্কেল
সুপার মার্কেটে বাজার করেন, নাপিতের দোকানে অন্যদের পাশে বসে অপেক্ষা করেন, এমনকি সরকারি ভবন নয়, নিজের বাড়িতে থাকাই তাঁর পছন্দ। তিনি আর কেউ নন, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ২০১০ সালের জার্মানির মেকলেনবার্গ-ভোরপোমার্ন প্রদেশ থেকে জার্মান সংসদে সর্বাধিক সংখ্যক আসন জয়ের মাধ্যমে চ্যন্সেলর নির্বাচিত হন। মের্কেল ক্রিসচিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ২০০২ হতে ২০০৫ পর্যন্ত (ক্রিসচিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন)-এর সংসদীয় জোটের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৭ সালে আঙ্গেলা মের্কেল ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।