পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকদের ওপর নজরদারি না করে প্রতিষ্ঠান ও এজেন্টদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গ্রাহকদের গ্রাহকদের ওপর নজরদারি আরোপের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারিও যথাযথ হয়নি বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। গতকাল (রোববার) এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন গ্রাহক ইচ্ছা করলেই টাকা হুন্ডি বা পাচার করতে পারে না। তার জন্য এজেন্টের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। ২০১১ সালে যখন মোবাইল ব্যাংকিং চালু করা হয় তখনই এর ভালো-মন্দ দিক বিবেচনা না করে বা সার্ভিসচার্জ প্রকৃত পক্ষেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সহায়ক কিনা তা বিচার বিবেচনা না করেই এর কার্যক্রম চালু করা হয়। যার ফলে দিন দিন এর নেতিবাচক দিকগুলি মাত্রাতিক্রম করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইড লাইনে বলা আছে, লেনদেন হবে গ্রাহক থেকে গ্রাহক। কিন্তু বাস্তবে লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৯০ ভাগই এজেন্ট থেকে এজেন্ট। এজেন্ট দেয়ার বেলায় কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যত্রতত্রভাবে এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার এজেন্ট রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক এজেন্টদের নজরদারি করার কোনো সংস্থা তৈরি হয়নি। যার ফলে গ্রাহকরা একদিকে যেমন এই এজেন্টদের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে তেমনি অর্থ পাচার ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন হচ্ছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক আমাদের দেশের অভ্যন্তরে দুর্বল হলেও দেশের সীমার ওপারেও নেটওয়ার্ক সচল থাকার ফলে সীমানার ওপারেও অবাধে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ সকল বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংক তদারকি না করে গ্রাহকদের মোবাইল ব্যাংকিং এর ওপর যে করাকরি আরোপ করেছেন তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। সংগঠনটির সভাপতি বলেন, এই অবৈধ লেনদেনের ফলে ২০১৬ সালে দেশে প্রবাসী আয় কমেছে ১১ শতাংশ এটা আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যক্তি হিসেবে ১৫ হাজার ও মাসে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জমা দেয়া যাবে। এক্ষেত্রে দিনে সর্বোচ্চ দুইবার ও মাসে ২০ বার জমা দেয়া যাবে। তবে পাঁচহাজার টাকার বেশি টাকা জমা বা উত্তোলনে গ্রাহকের পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। আগে একজন গ্রাহক তার হিসাবে দৈনিক পাঁচবার ও মাসে ২০ বার টাকা জমা দিতে পারত। এক্ষেত্রে প্রতিবার ২৫ হাজার টাকা ও মাসে একলাখ ৫০ হাজার টাকা জমা দেয়ার সুযোগ ছিল। কমানো হয়েছে নগদ টাকার লেনদেনও। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে দিনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ও মাসে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করা যাবে। এখন দিনে সর্বোচ্চ দুইবার ও মাসে ১০ বার নগদ অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি হিসেবে নগদ অর্থ জমার মধ্যে পাঁচহাজার টাকার বেশি উত্তোলন করা যাবে না। আগে যেখানে দিনে ২৫ হাজার টাকা ও এক লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করার সুযোগ ছিল। এ সকল নির্দেশনার ফলে কোনো লাভ হবে বলে আমাদের কাছে মনে হয় না। কারণ যেখানে এজেন্ট টু এজেন্ট লেনদেনের ব্যাপারে কোনো দিকনির্দেশনা দেয়া হয়নি। এখানে লেনদেনের সময় গ্রাহকের আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি স্বাক্ষর ও টিপসই রাখতে বলা হয়েছে। যে সকল এজেন্ট এ সকল নির্দেশনা মানবে না, তাদের এজেন্ট বাতিল করা হবে। এ সকল নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হলে মাঠপর্যায়ে কঠোর পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সকল এজেন্ট পর্যবেক্ষণের জন্য সত্যিকার অর্থেই কোনো সক্ষমতা আছে কি? মুঠোফোন গ্রাহকরা ইতোমধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তাদের সিম নিবন্ধন করেছেন। ফলে তাদের মুঠোফোন নাম্বারই একটি আইডি কার্ড বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত গ্রাহকের ওপর নির্দেশনা প্রদান না করে মোবাইল ব্যাংকিং করে যে সকল প্রতিষ্ঠান ও এজেন্ট তাদের উপর নজরদারি বৃদ্ধিকরার আহ্বান জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।