পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা কিছুটা কমলেও দেশের উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি আকারে তা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল (রোববার) সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২, চট্টগ্রামে ১২.১, ময়মনসিংহে ১০.২, রাজশাহীতে ৭.৮, রংপুরে ৮.৫, তেঁতুলিয়ায় ৬.৭, খুলনায় ১০, বরিশালে ৮.৫ ডিগ্রি সে.। আজও (সোমবার) দেশের অনেক এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। তবে তিন দিন পর দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরো বেড়ে গিয়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে উন্নতি হতে পারে। মাঘের শীতের সাথে উত্তর-পশ্চিমা কনকনে হিমেল হাওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দিনমজুরদের আয়-রোজগার কমে গেছে। শীত ও কুয়াশার দাপটে ভোর বা সকাল থেকে নিত্যদিনের কাজকর্মে সচল থাকা দুরূহ হয়ে পড়েছে। সেই সাথে শিশু ও বৃদ্ধদের বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখে কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসমূহের ওপর এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী ও শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রামে তীব্র শীত অব্যাহত
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামে গত ৩ দিন ধরে তীব্র শীত অব্যাহত থাকায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে মানুষের। সন্ধ্যা নামার আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বাজারসহ রাস্তাঘাট। জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৫ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
রোববার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা বিরাজ করছে বিকেল ৪টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত। দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না ঠান্ডার প্রকোপ। হার কাঁপানো শীতে কাজে যেতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষেরা। গরম কাপড়ের অভাবে নি¤œ আয়ের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর এলাকার নছিমন জানান, হামরা বৃদ্ধ মানুষ। খুব ঠান্ডা হাত-পা বের করতে পারি না। কাপড় নাই, কেমন করে বাঁচি। শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত নানা রোগে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: শাহিনুর রহমান জানান, হাসপাতালে প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ জন শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে আরো ১৮৫ জন রোগী। হাসপাতালে ডাক্তার সঙ্কট থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো: নজরুল ইসলাম জানান, আজ এ জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো: নুরুল আমিন জানান, গত ৩ দিন থেকে এ অঞ্চলে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে গেছে। আমরা ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ৫৩ হাজার ১৮৫টি কম্বল বিতরণ করেছি। শীতার্ত মানুষের জন্য আরো ৩০ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।