পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : টিভি প্রযুক্তি এরপরে কোথায় যাচ্ছে? যদি একটি জায়গাও খুঁজে বের করতে হয় সেটা হচ্ছে লাস ভেগাসের বার্ষিক প্রদর্শনী সিইএস যেখানে সব ইলেকট্রনিকস নির্মাতা তাদের উৎপাদিত সামগ্রী নিয়ে আসে।
তবে গত দু’বছর ধরে টিভি নির্মাতাদের কিছুটা লক্ষ্যহীন দেখা গেছে, তারা এক প্রযুক্তি থেকে অন্য প্রযুক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, কিন্তু সেই নয়া প্রযুক্তিকে ভোক্তাদের কাছে প্রসারিত করার মতো আগ্রহ তারা দেখায়নি। খবর ম্যাশেবল ইনক। একটি স্পষ্ট ধারা, এমন একটি যা এ বছর নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে : টিভি নিজেই এখন পথ থেকে সরে যাচ্ছে। আমরা এখন যেসব টিভি দেখছি, তা এত পাতলা হয়েছে, বিজেলগুলো এত ছোট যে কিছু টিভিকে ওয়ালপেপারে পরিণত করাও সম্ভবÑ প্রায় সম্পূর্ণই ভাসমান ছবি যা দেয়াল থেকে কয়েক মিলিমিটার দূরে থাকে।
এলজির নতুন ওএলইডি, ৪কে টিভিগুলো তাদের সবচেয়ে পাতলা স্থানে আইফোনের চেয়েও পাতলা এবং এর বিজেলগুলো একেবারে নন-এগজিস্টেন্ট হলেও মজাদার রকম ছোট। ফিলিপস ও স্যামসাংয়ের মতো অন্যান্য কোম্পানিগুলো একই রাকম ছোট পদচিহ্নের সাথে টিভি চালু করেছে এবং আমরা ছোট টেলিভিশন সেটের ব্যাপারে কথা বলছি না, আমরা কথা বলছি ৭০ ইঞ্চি (এবং আরো বড়) জলহস্তিগুলো সম্পর্কে যেগুলো তাদের ক্ষুদে বিজেলগুলোকে সার্বিকভাবে আরো আকর্ষণীয় করে তৈরি করে।
এলজি আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছে। তারা একটি স্বচ্ছ টিভির ধারণা প্রদর্শন করছে। এটা মোটের উপর খুব একটা বাস্তব নয়। ছবির পেছনে কি আছে তা আপনি খুব কমই দেখতে চান, কিন্তু এটি টিভির আরেকটি দিক যা অপসারিত হচ্ছে। আমরা ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছি যখন টিভি হবে বস্তুত বাতাসে ভাসমান ছবি মাত্র।
এটা জাদু কৌশলের মতো, কিন্তু বাস্তব।
এ সব যন্ত্রের অধিকাংশেরই তাদের সকল প্রযুক্তি সুবিধাসহ ব্যয় পড়বে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত। তবে জিয়াওমি একটি অতিরিক্ত-পাতলা স্মার্ট টিভি প্রদর্শন করেছে যার দাম পড়বে দুই হাজার ডলারেরও কম যার অর্থ এই প্রায় অদৃশ্য, অতি পাতলা টিভিগুলো বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে।
এ প্রবণতা নতুন নয়, প্রথমটি বাজারে আসার পর থেকে টিভিগুলো ক্রমেই পাতলা হচ্ছে। উৎপাদনকারীরা এসবের মধ্যে প্রযুক্তির অবিশ^াস্য সমাবেশের দিকে আঙুল নির্দেশ করেন যেমন সুপার হাই রেজোল্যুশন, ন্যানো সেল, এইচডিআর ( যা কিনা টিভির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু তা টিভি দেখাকে অনেক ভালো করে) ও কোয়ান্টাম ডটস।
যেটা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য (এবং যাকে স্বাগত জানাতে হয়) বিষয় হচ্ছেÑ প্রচলিত টিভি সেটগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, পেছনে রেখে যাচ্ছে শুধু ছবি। আমি পরবর্তী তিন অক্ষরের টিভি প্রযুক্তির আদ্যাক্ষর নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত নই, কিন্তু আমি নির্মাতাদের তাদের পর্দাগুলেকে আরো পাতলা ও বিজেলকে ছোট করার পরবর্তী কৌশল দেখার জন্য অপেক্ষা করতে পারব না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।