Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্যাম্পাসে একুশের ভাবনা

প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক : আবার আসেছিল আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো দিন একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি তরুণরা ঢাকার রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মাতৃভাষার অধিকার। একারণেই তো বাঙালি জাতির কাছে একুশ মানেই সংগ্রামের অনুপ্রেরণা- শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার সময় কথাগুলো বলছিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী সায়মা, জুই, সজীব এবং রোজিনা আক্তার। শুধু সায়মা, জুই, সজীব এবং রোজিনা আক্তার নয় এমন মনোভাব দেশের সকল শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীরা মনে করেন তাদের চিন্তায় ও চেতনায় একুশ। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এর সাজসজ্জা ও আল্পনা আঁকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা। ঢাবি শিক্ষার্থী ফারজানা লিজা বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভাষার গান গাইতে গাইতে চলে আমাদের কাজ। শহীদ মিনারের আল্পনা আঁকার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছেন চারুকলার শিক্ষার্থী মৌমিতা কর্মকার। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই ও আপুদের থেকে শহীদ মিনারে আল্পনা আঁকার গল্প শুনতাম আর ভাবতাম আমি কবে এই সুযোগ পাব, তাই আমি ভীষণ খুশি, মনে হচ্ছে আমি যেন সারা বাংলার প্রতিনিধিত্ব করছি। জবি শিক্ষার্থী তমাল হোসেন বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছিল। শহীদ হয়েছিনে জবি’র (তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ) শিক্ষার্থী রফিক। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে অনেক গর্বের। কথাটা শেষ হতে না হতেই জাকারিয়া ও সম্পা বলেন, শুধু ভাষা আন্দোলন নয়, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের এই আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানাতেই প্রতিবছর ছুটে যায় শহীদ মিনারে। বাবি’র রতœা, সুমন, জাহিদ ও সুমি বলেন, আজ আমরা যে ভাষায় কথা বলছি এবং পড়ালেখা করছি যদি বাংলার দামাল ছেলেরা ৫২ সালে তাদেও জীবন উৎস্বর্গ না করতো তাহলে পারতাম না। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি এলেই যেন ভিন্ন মাত্রা পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এবছরও এর ব্যতিক্রম ছিল না। শহীদ মিনারসহ গোটা ক্যাম্পাস যেন সেজে ওঠেছিল আপন মনে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা, কর্মচারী সবার মাঝেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। একুশের অনভূতি জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসমা, রিমা, শাহনাজ, মুনা বলেন, যার জন্য এতো সংগ্রাম, আত্মাহুতি, রক্তদান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তার জন্যতো আয়োজন করতেই হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, এই দেশে যুগে যুগে যতো আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সব কিছুর সাক্ষী, একারণেই সব সময় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় একুশ কেন্দ্রীক। তাইতো একুশ এলেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বারতি উৎসাহ বিরাজ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্যাম্পাসে একুশের ভাবনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ