পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপি ‘সময় ও সুযোগ’ মতো আবারো রাজপথে নামবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আন্দোলন- একটা বিজ্ঞানের ব্যাপার, বিভিন্ন কৌশলের ব্যাপার। রাজনীতি তো আপনার এক জায়গায় বেঁধে রাখার জিনিস না, এর উত্থান-পতন আছে, কখনো আমার ভালো সময় যাবে, কখনো আমার খারাপ সময় যাবে। আমরা প্রতিবার রাজপথে আসছি, সময়মত-সুযোগমত আমরা অবশ্যই আবারো রাজপথে আসবো।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা একটা কথা পরিস্কার করে বলতে পারি, ‘উই আর কমিটেড উইল ফাইট টু দ্যা লাস্ট’। আমরা গণতন্ত্রেকে ফিরিয়ে আনবার জন্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমরা সংগ্রাম করবো, লড়াই করবো। আমরা সেই লড়াইতে সফল হবো, ইনশাল্লাহ।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সেমিনার কক্ষে ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ সংগঠনের উদ্যোগে কবি আব্দুুল হাই শিকদার রচিত ‘জ্যোতির্ময় জিয়া এবং কালো মেঘের দল’ গ্রন্থের চতুর্থ সংস্করণের প্রকাশনা উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়নের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক শক্তি, লড়াই করছি একটা ফ্যাসিস্ট শক্তির সাথে। এই একবছরে আমাদের হাজারের উপরে নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, পুলিশ গুলি করে মেরেছে। ৫শ’ উপরে আমাদের নেতা-কর্মী গুম হয়ে গেছে, হাজার হাজার নেতা-কর্মী পুঙ্গ হয়েছে, স্ক্যাচে ভর এখনো আসে, কেউ রিকসা চালায়।
এই সরকার তার ফ্যাসিস্ট বাহিনী দিয়ে নির্মম নির্যাতনে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করছে। সেটা কোনোদিনও সম্ভব হবে না। এতো কিছুর পরও তারা বিএনপির লোককেও টেনে নিতে পারেনি, আমাদের একজন নেতা-কর্মীকেও তারা বিচ্যুত করতে পারেনি। এখানেই বিএনপির শক্তি, এখানে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শক্তি।
দলের নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার সফলতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমি তাকে অভিবাদন জানাই। বাংলাদেশে কয়জন নেতা আছেন, যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য এতো ত্যাগ স্বীকার করেছেন। একজন গৃহবধূ ছিলেন, রাজনীতি জানতেন, তিনি দেশের প্রয়োজনে, জনগণের কথা শুনে রাজনীতিতে এসেছেন। দীর্ঘ নয় বছর বিরোধী দলের থেকে সংগ্রাম করেছেন, রাজপথে সংগ্রাম করেছেন, তিনি ক্ষমতায় বসে কিন্তু সংগ্রাম করেননি। তারপরে তিনি (খালেদা জিয়া) স্বামী হারিয়েছেন, পূত্র হারিয়েছেন, আরেক পূত্র নির্বাসিত। তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, এখন প্রতি সাপ্তাহে আদালতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় তাকে হাজিরা দিতে হয়। গোটা বাংলাদেশে এখন বিএনপি মানেই হচ্ছে আসামি, বিএনপি মানেই হচ্ছে, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে অথবা জেলখানায় থাকতে হবে। বিএনপির মানেই হচ্ছে, তাকে রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হবে অথবা এলাকা থেকে পালিয়ে অন্য জায়গায় থাকতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের যুদ্ধে কখনো পরাজিত হয়নি। আজকের যুদ্ধ হচ্ছে দেশের মানুষের যুদ্ধ, তার অস্তিত্বের যুদ্ধ, তাদের টিকে থাকার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে আমরা সফল হবো।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবন-আর্দশ নেতা-কর্মীদের অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
সংগঠনের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, প্রফেসর ড. মাহবুবউল্লাহ, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রফেসর এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আব্দুুল লতিফ মাসুম, জাসাস সভাপতি এম এ মালেক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, গ্রন্থের লেখক কবি আব্দুুল হাই শিকদার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।