Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক ঘণ্টায় পদ্মা নদী পারাপার ॥ কমছে দূরত্ব ও জনভোগান্তি

কাওড়াকান্দি ঘাট কাঁঠালবাড়িতে স্থানান্তর হচ্ছে আজ

| প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নৌপথে প্রবেশে বৃহত্তর নৌরুট মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুর শিবচর উপজেলার কাওড়াকান্দি ঘাট। এ নৌপথের দূরত্ব কমিয়ে আনাসহ যাতায়াতের পথ সুগম করতে ইতোমধ্যে কাওড়াকান্দি ঘাটটি স্থানান্তরে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌ-মন্ত্রণালয়। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষে কাওড়াকান্দি ঘাট কাঁঠালবাড়িতে স্থানান্তর হচ্ছে আজ  রোববার। এজন্য খুলে দেয়া হচ্ছে পদ্মা সেতুর জন্য নির্মিত জাজিরা অ্যাপ্রোজ সড়কের শিবচর-কাঁঠালবাড়ি অংশ। যান চলাচলে বেড়ে যাবে গতি, কমবে দূরত্ব ও জনভোগান্তি। বদলে যাচ্ছে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটর গতিপথ ও সীমানা। নতুন করে নাম হচ্ছে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট। একই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটের নাম। এখন পদ্মা নদী পাড় হতে সময় লাগবে পৌনে এক ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা। এতে খুশি নৌযান মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণ।
স্থানীয়সহ বিভিন্নভাবে জানা গেছে, এতদিন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ প্রতিনিয়ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বল্প দূরত্বের কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে চলাচল করে আসছিল। এই নৌরুটের দূরত্ব প্রায় ১৭ কিলোমিটার। লঞ্চ ও ফেরিতে নৌযানের কার্যক্ষমতা ভেদে পদ্মা পার হতে সময় লেগেছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। আর শুষ্ক মৌসুমে নদীর নাব্য সঙ্কটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চর এবং ডুবোচর জেগে ওঠায় প্রায়ই ফেরি আটকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রী সাধারণকে। যাত্রী ভোগান্তি লাঘবে এই দীর্ঘ নৌপথের দূরত্ব কমিয়ে আনতে অনেক দিন ধরেই ভাবনা-চিন্তা করছিলেন বাংলাদেশ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছর ৮ জানুয়ারি সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী উদ্বোধন করে খুলে দেন পদ্মা সেতুর জন্য নির্মিত জাজিরা অ্যাপ্রোজ সড়কের শিবচর-কাঁঠালবাড়ি অংশ। চিরচেনা কাওড়াকান্দি ঘাট ১৫ জানুয়ারি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ‘কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরি ঘাটে’। কাওড়াকান্দি থেকে আট কিলোমিটার দূরে কাঁঠালবাড়িতে এখন চলছে টার্মিনাল, পন্টুন ও আন্তঃসংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ। নদীতে জেগে উঠা চর কেটে নদীকে প্রশস্ত করা হচ্ছে। গভীরতার জন্য নদীতে করা হচ্ছে ড্রেজিং। নদী পারাপারে এই আট কিলোমিটার পথ কমার ফলে একদিকে যেমন যাত্রী ভোগান্তি কমবে, অন্য দিকে নৌযানগুলোর জ্বালানি খরচও বাঁচবে অনেক। নৌপথের দূরত্ব কমায় দুর্ভোগ কমবে বলে আশা করেন যাত্রী, নৌযান মালিক-শ্রমিকেরা। নৌপথ কমে সড়ক পথ বৃদ্ধি পাওয়ায় কাওড়াকান্দির ঘাটের দীর্ঘ যানজট কমবে, সেই সাথে নতুন ঘাট থেকে ফেরি পারাপার হবে ১৫ জানুয়ারি থেকে জানান বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমানে এই নৌরুট ফেরি কুমিল্লা নামের আরো একটি ফেরি যুক্ত হওয়ায় প্রতিদিন ১৮টি ফেরি, ৮৬টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোট দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ পারাপার করবে’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ