Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিএসসিসির রাস্তা সংস্কারে যুক্ত দুটি অত্যাধুনিক মেশিন

| প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খরচ কমে যাবে ৪০ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখার কার্যক্রমের গতি ফেরাতে আনা হয়েছে দুটি অত্যাধুনিক মেশিন। ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা এই যন্ত্র দুটির নাম হলো ক্যাটারপিলার ব্র্যান্ডের কোল্ড মিলিং মেশিন ও কোল্ড রি-সাইক্লিং প্ল্যান্ট। ঢাকার রাস্তা সংস্কারের কাজে অত্যাধুনিক এ যন্ত্রের ব্যবহার ইতোমধ্যে শুরু করছে ডিএসসিসি। এ কাজে ব্যবহারের জন্য আরও বেশ কিছু আধুনিক যন্ত্রও আমদানি করা হয়েছে। এসব যন্ত্র দিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করলে ডিএসসিসি’র ৪০ শতাংশ খরচ কমে যাওয়ার পাশাপাশি আগের তুলনায় সময় ও কম খরচ হবে। এ মেশিনের সাহায্যে ও নতুন এ পদ্ধতিতে সড়ক মেরামত করলে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ বা সংস্কার করা যাবে। ডিএসসিসি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে উপরোক্ত তথ্যগুলো জানা যায়।
সিটি কর্পোরেশন থেকে জানা যায়, অত্যাধুনিক এ পদ্ধতি গ্রহণ করে তারা ইতোমধ্যে সফলতাও পাচ্ছেন। এরই মধ্যে অল্প সময়ে বেশ কয়েকটি সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। নতুন করে আমদানি করা এসব যন্ত্র দিয়ে পুরানো রাস্তার পিচ ও ইটপাথর কেটে নতুন করে এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা। এছাড়া পুরানো ইটপাথর ও পিচ ব্যবহার করা যাবে এ মেশিনের সাহায্যে। এতে সিটি কর্পোরেশনের ৪০ শতাংশ খরচও কমে যাবে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন জানান, ডিএসসিসির নতুন এসব যন্ত্র দিয়ে ১২ ফুট প্রস্থের এক কিলোমিটার সড়ক কাটতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার রাস্তা কেটে আবার পুনঃনির্মাণ করা যাবে। কাটার পর বেরিয়ে আসা ইটপাথর পুনঃপ্রক্রিয়া করে সেগুলো আবার ব্যবহার করা যাবে। এতে সড়কের উচ্চতা বাড়বে না।
তিনি জানান, এ পদ্ধতির মাধ্যমে রাস্তা সংস্কার করলে সড়ক উঁচু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া উঁচু-নিচু রাস্তাও কেটে সমান করা যাবে আধুনিক এই মেশিনগুলোর ব্যবহারের মাধ্যমে। এতে যেমন খরচ কমবে তেমনি বাঁচবে সময়। নগরীর সড়ক মেরামতের সময় নগরবাসীকে যানজটসহ যে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা থেকে রক্ষা পাবে নগরবাসী।
জানা গেছে, প্রথমবারের মতো এই যন্ত্র বাংলাদেশে এনেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা এই যন্ত্র দুটির নাম হলো ক্যাটারপিলার ব্র্যান্ডের কোল্ড মিলিং মেশিন ও কোল্ড রি-সাইক্লিং প্ল্যান্ট। এতে ডিএসসিসির প্রায় ২৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়।
ডিএসসিসি’র যান্ত্রিক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, কোল্ড মিলিং মেশিন দিয়ে নিখুঁতভাবে ১৩ ইঞ্চি গভীর করে সড়কের পিচ ও ইটপাথর কাটা যাবে। আর কোল্ড রি-সাইক্লিং প্ল্যান্ট দিয়ে এই ইটপাথর ঘণ্টায় ১২০ টন পুনঃপ্রক্রিয়া (রি-সাইক্লিং) করা যায়। রি-সাইক্লিং করে উপকরণগুলোর ৪০ শতাংশ ব্যবহারের উপযোগী করা যায়। এতে একটি সড়ক নির্মাণে প্রতি কিলোমিটারে প্রায় ৬০ শতাংশ খরচ কমে যাবে।
ডিএসসিসি থেকে জানা যায়, ইতালির তৈরি কোল্ড মিলিং মেশিনটি প্রায় ১৩ ইঞ্চি গভীর এবং প্রায় ৭ ফুট অ্যাসফল্টের আস্তরণ কাটতে পারে। প্রতি ঘণ্টায় কাটতে পারে ৭ হাজার ৫০০ ফুট রাস্তা।
অপরদিকে, স্বয়ংক্রিয় কোল্ড রি-সাইক্লিং অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট তৈরি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ডিএমআই কোম্পানি। এটি ঘণ্টায় ১২০ টন অ্যাসফল্ট তৈরি করতে সক্ষম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ