Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জামায়াত-বিএনপির দুই নেতাসহ ৫ জন গ্রেফতার রিমান্ডের আবেদন

এমপি লিটন হত্যা

| প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গাইবান্ধা জেলা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ জামায়াত-বিএনপির দুই নেতাসহ আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মোজাম্মেল হক ভুটটু ও বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জহুরুল ইসলাম। তাদের সাথে আরও ৫ জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দু’জনার নাম জানা গেলেও বাকি তিনজনের নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা। তবে গ্রেফতারকৃতরা এমপি লিটন হত্যার সাথে নানাভাবে সক্রিয় ছিল বলে পুলিশের সূত্র থেকে জানা গেছে।
এদিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারকৃত সুন্দরগঞ্জ থানা জামায়াতের আমীর হাজী ইউনুস আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী জহুরুল ইসলামকে ঢাকা থেকে সুন্দরগঞ্জ থানায় এনে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে বলেও জানা গেছে। সেই সাথে নলডাঙ্গার প্রতাপ গ্রাম থেকে গ্রেফতারকৃত শিবিরের অপর প্রশিক্ষিত ক্যাডার মনিরুল ইসলাম রতনেরও রিমান্ডেরও আবেদন করা হবে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এদিকে সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় লিটন হত্যাকা-ে ব্যবহৃত আশরাফুল ইসলামের সেই কালো রংয়ের পালসার মটর সাইকেলটি হন্যে হয়ে খুঁজেছে পুলিশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত মটর সাইকেলটির কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, জামায়াতের আমীর হাজী ইউনুস আলীর ছেলে আশরাফুল ও তার সহযোগী জহুরুল দু’জনই প্রশিক্ষিত ক্যাডার। আশরাফুল ঢাকার ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাভারের আশুলিয়া ক্যাম্পাসে বিবিএতে পড়াশোনা করতো। তার সহযোগী জহুরুল ইসলামও ঢাকাতেই অবস্থান করছিল বলে জানা গেছে। পুলিশ অবগত হয়েছে এমপি লিটন হত্যার আগেরদিন তারা সুন্দরগঞ্জে কালো রংয়ের মটর সাইকেল নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। লিটন নিহত হওয়ার পর থেকে তারা সুন্দরগঞ্জ থেকে পালিয়ে গিয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব বৃহস্পতিবার ঢাকার বাড্ডা থেকে তাদের গ্রেফতার করে সুন্দরগঞ্জ পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ ঃ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মানবতা বিরোধী মামলার আসামি সুন্দরগঞ্জের জামায়াতের সাবেক এমপি ঘোড়ামারা আজিজ প্রতিষ্ঠিত বামনডাঙ্গার বার্ণা এন্টারপ্রাইজে এখন তালা ঝুলছে। বার্ণা এন্টারপ্রাইজের এমডি জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম, পরিচালক হারুন অর রশিদ, প্রভাষক আমির উদ্দিন, প্রভাষক আজাদুল ইসলাম এমপি লিটন হত্যার দিন থেকেই বামনডাঙ্গা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে পুলিশ এখন তাদের খুঁজছে।  
পিআইও’র অফিসে তালা ঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী প্রামানিক ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থে ১৩টি ব্রীজ নির্মাণ না করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করলে এমপি লিটন তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দিয়ে অভিযোগ করে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববর্তী রংপুরের পীরগঞ্জে বাড়ি হওয়ার সুবাদে ওই পিআইও নুরুন্নবীর জামায়াতের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এসব কারণে এমপি লিটনের সাথে পিআইও রীতিমত বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিল। তাকেও এই হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ইতোপূর্বে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সম্প্রতি সে অফিসে তালা ঝুলিয়ে সুন্দরগঞ্জ থেকে উধাও হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ