Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাশকতা এড়াতে জঙ্গি সংগঠনগুলো নজরদারিতে রয়েছে-র‌্যাব ডিজি

| প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক (র‌্যাব) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। এদেশের মানুষ জঙ্গিবিদ্বেষী। তারা জঙ্গিবাদ পছন্দ করে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জিরো টলারেন্স ও সাধারণ মানুষের ঘৃণার কারণে জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, নাশকতা এড়াতে নতুন ও পুরনোসহ সব জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরদারি রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। শিল্পকলা একাডেমীতে মহাজোট সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে জিরো টলারেন্স শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে  ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ এজে’র ফটোসাংবাদিক আলী হোসেন মিন্টুর চার দিনব্যাপী একক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন তিনি।
র‌্যাব প্রধান বলেন, হলি আর্টিজান-পরবর্তী যে ‘অপারেশনগুলো’ হয়েছে সেগুলো মূলত নব্য জেএমবিকেন্দ্রিক। তাদের ক্ষমতা বহুলাংশে কমে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টানা অপারেশনে এই গ্রুপটা ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে। তবে যারা বাইরে আছে তারা পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের পাশাপাশি পুরনো জেএমবিসহ অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে যেন তারা নতুন কোনো নাশকতা ঘটাতে না পারে।
পুরনো জেএমবির নতুন করে সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা এ বিষয়ে র্যারব ডিজির কাছে জানতে চাইলে বলেন, নব্য জেএমবি ও মূলধারার জেএমবির মধ্যে আদর্শিক দ্বন্দ্ব আছে। তারা ’১২ সালে প্রথম বিভক্ত হয়। বিভক্তদের মধ্য থেকে ’১৫ সালে আরো কয়েক ভাগ হয়। এদের মধ্য থেকে কেউ কেউ সম্প্রতিকালের নাশকতাগুলো ঘটিয়েছে। তাদের সবাইকে আমাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
জঙ্গিবাদের অর্থদাতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে অনেক অর্থদাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেক অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। অর্থদাতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা স্বদেশি-বিদেশি হোক প্রমাণসাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, ২০১২ সাল থেকে এদেশে একটি গোষ্ঠী দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বিশেষ করে ২০১৩ সালে হেফাজত দেশের মধ্যে একটি বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টির করেছিল। তখন ঢাকা মেডিক্যালে গেলে শুধু মানুষ পোড়ার গন্ধ পাওয়া যেত। কিন্তু আমাদের বিচক্ষণতার কারণে তারা কোন সুফল পায়নি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ফটোসাংবাদিক আলী হোসেন মিন্টু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ