পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে বিচার শুরু করায় প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আসামি মারা যাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রসিকিউশন টিমকে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিটর হায়দার আলী ও ঋষিকেষ সাহা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এ বিষয়টি আমি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছি, কারণ হচ্ছে এ ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত না। আজকে তদন্ত করব; যাদের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই রকম আরো কোন ঘটনা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও মন্ত্য করেন আইনমন্ত্রী। পরে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, তারা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, একজন মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা কীভাবে চলছে? জবাবে আমরা বলেছি, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে আদালত বলেছেন, এটি আইন বিরুদ্ধ কাজ।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার রাজাকার ও আলবদর সদস্য রিয়াজ উদ্দিন ফকির ও ওয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য রয়েছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। এর মধ্যে গত বুধবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিবেদন সম্প্রচার করে। যাতে বলা হয়, মৃত ব্যক্তিকে পলাতক ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে যুদ্ধাপরাধী ওয়াজ উদ্দিনের। এমনকি তার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে নিয়োগ দেয়া হয়েছে আইনজীবীও। প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালের নজরে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালে ওয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সাত মাস আগেই তিনি মারা গেছেন।
একাত্তরে গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় আসামি ওয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের অক্টোবরে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা। শুরু থেকেই তাকে পলাতক দেখিয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।