পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : বিয়ের পর প্রথম দফায় চাকরিতে পদোন্নতির নামে যৌতুকের দাবি পূরণ করার পর দ্বিতীয়বার একই দাবি না মানায় নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামুনুর রশীদ (২৮) নামে পুলিশের এক এ.এস.আই’র বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেছেন স্ত্রী কামরুন্নাহার।
মামলার পর ওই পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট জারি হলে সে কৌশলে শর্তসাপেক্ষে জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য স্ত্রীকে হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখে। মামলার পূর্বাপর ঘটনা ও হুমকির বিষয়টি তুলে ধরে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে এ.এস.আই মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী কামরুন্নাহার লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ.এস.আই মামুন বর্তমানে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় কর্মরত রয়েছেন।
মামলার এজাহার এবং নির্যাতনের শিকার ওই নারীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জয়নগর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মামুনুর রশীদের সাথে ২০১১ সালে একই গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে কামরুন্নাহারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মামুন পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিল। ২০১৩ সালে কনস্টেবল মামুন এ.এস.আই পদে পদোন্নতির জন্য সাত লাখ টাকা দেয়ার জন্য স্ত্রী কামরুন্নাহারকে চাপ দেয়। টাকার ব্যবস্থা না করায় মামুন তার স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি কামরুন্নাহার তার বাবা-মাকে জানালে তারা মেয়ের ভবিষ্যৎ সুখের কথা ভেবে মামুনের হাতে যৌতুকের দাবির সাত লাখ টাকা তুলে দেয়। এ.এস.আই পদে কনস্টেবল মামুনের পদোন্নতি হয়। তিন বছরের মাথায় এস.আই পদে পদোন্নতির জন্য আবারও কামরুন্নাহারের কাছে টাকা দাবি করে বসে মামুন। গত বছরের ৪ এপ্রিল এস.আই পদে পদোন্নতির জন্য দশ লাখ টাকার প্রয়োজন দেখিয়ে কামরুন্নাহারের কাছে যৌতুক দাবি করে। কামরুন্নাহার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। পরদিন ৫ এপ্রিল মামুনসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও কামরুন্নাহারকে বেধড়ক পেটায়। এলাকার লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে কামরুন্নাহারের পরিবারের লোকজন ওই বাড়িতে ছুটে এসে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। পরবর্তীতে ১৮ এপ্রিল কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার স্বামী মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর ১৬ মে অভিযোগের সত্যতা বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হলে আদালত এটি মামলা হিসেবে আমলে নেয় এবং ১৩ জুন আসামি মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট জারি করে। ১৫ জুন কৌশল অবলম্বন করে আপোসের শর্তে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেয় এ.এস.আই মামুনুর রশীদ। পরদিন মামলা, ওয়ারেন্ট এসব প্রসঙ্গ তুলে ধরে কামরুন্নাহারকে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ১৮ জুন সদর দক্ষিণ থানায় কামরুন্নাহার সাধারণ ডায়েরি করেন। ১৪ নভেম্বর বিষয়টি আপোষ-মীমাংসার লক্ষ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বসলে এ.এস.আই মামুনের কারণে তা সফল হয়নি। ১৬ নভেম্বর আদালতে এ.এস.আই মামুনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
মামলার বাদী কামরুন্নাহার জানান, ‘আমি একটি সাধারণ পরিবারের মেয়ে। অনেক কষ্টে আমার বাবা-মা প্রথমবার আমার স্বামীর দাবিকৃত যৌতুকের টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছে। মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি, হুমকি দিচ্ছে। সে আমাকে পুলিশি ভয় দেখাচ্ছে। আমি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছি। সে ও তার পরিবারের লোকজন সামাজিক সালিশ ব্যবস্থাকেও বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েছে। আমি মনে করি সে পুলিশ বাহিনীর কলঙ্ক।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।