Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষিপ্রযুক্তি গ্রাম পর্যায়ে দ্রুত পৌঁছাতে হবে

মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বর্তমানে কৃষি নানামুখী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি। একদিকে জমির পরিমাণ কমছে, শ্রমিক সঙ্কট প্রকট হচ্ছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা কৃষি উৎপাদনশীলতা ধরে রাখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সহায়ক হতে পারে প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি দ্রুততার সঙ্গে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে।
গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী সপ্তম আন্তর্জাতিক কৃষিপ্রযুক্তি মেলা ২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) এবং লিমরা ট্রেড ফেয়ার অ্যান্ড এক্সিবিউশন প্রা. লিমিটেড যৌথভাবে  মেলার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রকৌশলী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. এম এ মতিন।
তিনি বলেন, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন করতে হলে গ্রামীণ পর্যায়ে কৃষি প্রযুক্তি পৌঁছাতে হবে দ্রুততার সঙ্গে। দেশীয় প্রতিষ্ঠান কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবন ও তা সম্প্রসারণ করছে। যা আগে পুরোটাই আমদানি নির্ভর ছিল। দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এসিআই লিমিটেড ও আলীম ইন্ডাস্ট্রিজসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান কৃষকবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে।
বক্তার বলেন, কৃষিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া এবং যে উৎকর্ষতা লেগেছে, কৃষককে তা স্পষ্ট ভাষায় বোঝাতে হবে। এ ছাড়া কৃষিতে নতুন নতুন আবিষ্কার করলেই হবে না, তা কৃষককে বোঝাতে হবে। কৃষকের ভাষাতেই প্রযুক্তির সব বিষয় তুলে ধরতে হবে। কৃষক যখন প্রযুক্তির নানা আবিষ্কার দেখবে তখনই কৃষক সেসব ব্যবহার শুরু করবে। এসব বিষয়ে খেয়াল রেখেই প্রচার চালাতে হবে বলে জানান বক্তারা।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশি ও বিদেশি প্রায় ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশ নিচ্ছে। বিশ্বের ১৮টি দেশের ৪৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। সকলের জন্য উন্মুক্ত এ মেলা আগামীকাল শেষ হচ্ছে। এখানে কৃষি-বিষয়ে যাবতীয় তথ্য ও প্রযুক্তিসেবা পাওয়া যাবে।
মেলায় মিনি কম্বাইন হারভেস্টর নিয়ে এসেছে এসিআই। দেশে প্রথমবারের মতো চালু করতে যাওয়া এ মেশিনটির মাধ্যমে ধান রোপণ থেকে শুরু করে ধান কাটা, মাড়াইসহ সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। মেশিনটি সরকারি ভর্তূকি মূল্যে পাওয়া যাবে। কৃষির শ্রমিক সঙ্কট মোকাবেলায় মিনি কম্বাইন হারভেস্টর মাঠ পর্যায়ে পাইলট আকারে ট্রায়াল দেয়া এ প্রযুক্তি মেলার পরপরই ব্যাপকভাবে সারা দেশে পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে এসিআই লিমিটেডের প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট নির্বাহি এ কে এম রইসুল ইসলাম খান বলেন, সাধারণত মিনি কম্বাইন হারভেস্টরের দাম সাত লাখ টাকার বেশি। কিন্তু সরকারের প্রচলিত ভর্তূকি কার্যক্রমের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যাবে। ফলে কৃষরা এটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার টাকায় কিনতে পারবে। এ ছাড়া তার মেলায় পাওয়ার টিলারসহ ট্রাক্টর ও অনান্য ধান কাটা ও মাড়াইয়ের নানাবিধ প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, মেলায় দেশের উৎপাদিত কৃষি ও  বৈদ্যুতিক যন্ত্রসমূহ, বিদেশ থেকে আমদানি কৃষি ও হালকা প্রকৌশল, ওয়ার্কসপে ব্যবহৃত উন্নতমানের মেশিনারি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত প্রক্রিয়াজাতকরণ যন্ত্রপাতিসমূহ, কৃষিপণ্যসমূহ, উদ্যান ফসলের উন্নয়ন প্রযুক্তি, বীজ ও বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি, সৌর বিদ্যুত, বায়োগ্যাস জেনারেটর, ডিজেল জেনারেটর, সেচ, পানির পাম্প, যন্ত্রপাতিসমূহসহ উল্লেখযোগ্য যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ