পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ওসিকে শাসানোর অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (রায়গঞ্জ সার্কেল) গাড়ী চালক কনস্টেবল আলমগীর হোসেনকে বুধবার দুপুরে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিন আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি আব্দুর রফিক জানান, সোমবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রউফ সলঙ্গা থানা পরিদর্শনে আসেন। তার গাড়ী থানা ভবনে ঢোকার সময় দায়িত্বরত কনস্টেবল সবুজ সেটা লক্ষ্য করেনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়গঞ্জ সার্কেলকে সম্মানপ্রদর্শন না করায় গাড়ী থেকে নেমেই চালক আলমগীর কনস্টেবল সবুজের উপর চড়াও হয়। বিষয়টি ওসি আব্দুর রফিকের চোখে পড়লে তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এসময় তিনি বলেন, তুমি কনস্টেবল হয়ে অপর কনস্টেবলের উপর চড়াও হতে পারো না। এখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়েছেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন। এ সময় কনস্টেবল আলমগীর হোসেন উত্তেজিত হয়ে ওসির কথার পাল্টা জবাব দেন। এ অবস্থায় এএসআই মতিউর রহমান তাকে শান্ত করার জন্য বাইরে নিয়ে যান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাথে নিয়ে ওসি নিজ কার্যালয়ে ঢোকেন। এর পরপরই গাড়ী চালক কনস্টেবল আলমগীর হোসেন আবারো ধেয়ে এসে ওসির উপর উত্তেজিত হন। তিনি গাড়ীর উপরে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে ওসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্যার আমাকে আপনি চিনেন না। আমি আইজি’র গাড়ী চালিয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএস আমার আত্মীয়। আপনাদের সবাইকে দেখে নেয়ার ক্ষমতা আমার আছে।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুর রফিক জানান, আমি আগেও শুনেছি কনস্টেবল আলমগীর সকলের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। আজ আমার সাথেও দুর্ব্যবহার করলো। এব্যাপারে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করলে প্রাথমিক তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিকেলে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।