পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো। বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমাব। প্রত্যেকটি ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখবে। বাংলাদেশের মানুষ খাদ্যনিরাপত্তা পাবে, পুষ্টি পাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে যাতে ডিজিটাল হয়, তার ব্যবস্থা করে দেব।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বেলা সোয়া তিনটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছান তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে দেশের মানুষের উচ্ছ্বাস, আবেগের কথা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। বরাবরের মতোই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, এতিমের টাকা চুরি করে খেয়েছেন। এতিমের নামে টাকা এসেছে। মামলায় হাজিরা দিতে যান। একদিন যান তো ১০ দিন যান না, পালিয়ে বেড়ান, ব্যাপারটা কী? এতেই তো ধরা পড়ে যায় যে চোরের মন পুলিশ পুলিশ।
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, তার কাছ থেকে রাজনীতি শিখতে হবে, গণতন্ত্র শিখতে হবে, সেটা বাংলাদেশের মানুষ কোনোভাবে মেনে নেবে না। আজকে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে, স্বস্তিতে আছে। দেশের মানুষ সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখে। মানুষ যখন ভালো থাকে, তখন তার অন্তরজ্বালা সৃষ্টি হয়। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্যের। তিনি বলেন, যারা মানুষ হত্যা করে এবং যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানায়, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তারা সন্ত্রাসী-জঙ্গি। জঙ্গিদেরও তারা উসকে দিচ্ছে। বাংলার জনগণই একদিন তাদের বিচার করবে। গণ-আদালতে এদের বিচার হবে।
২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের নামে সহিংসতার কঠোর সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা কী করেছে? মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। বিএনপির নেত্রী আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন, মানুষ হত্যা করেছেন। তিনি নির্বাচন করতে দেবেন না, নিজেও করবেন না। তারপর হত্যা শুরু করেন।’
২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিবাদের উত্থানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “তারা জঙ্গি ও সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের উসকে দিয়েছে। জনগণ তাদের বিচার করবে। গণআদালতে বিচার হবে। বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিদের স্থান হবে না। বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে কখনো কোনো সন্ত্রাসের স্থান হবে না। তার জন্য এ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ; মসজিদের ইমামসহ শিক্ষক, অভিভাবক সবার কাছে আমি আহ্বান জানাই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এ পথে যেন কেউ না যায়, এর জন্য সেভাবেই মানুষকে শিক্ষা দিতে হবে, তারা যেন শান্তির পথে থাকে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম, সৌহার্দ্যরে ধর্ম, ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। ইসলাম কখনো মানুষ হত্যা শেখায় না। বিচার করবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। শেষ বিচার তার হাতে। কে ভালো করে না-করে তিনি বিচার করবেন। ইসলামে আত্মহত্যা মহাপাপ। অথচ আজকে যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস করছে অথবা আত্মঘাতী হচ্ছে; যারা মনে করে আত্মঘাতী হয়ে বেহেশতে চলে যাবে, তারা কখনো বেহেশতে যাবে না, তারা দোজখে যাবে। ইসলাম কখনো আত্মঘাতী হওয়া, মানুষ খুন করা কখনো প্রশ্রয় দেয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দিয়েছি বিদ্যুৎ। আর বিএনপি দিয়েছে খাম্বা। খাম্বা কেন? বিদ্যুৎ নেই, খাম্বা কিনে টাকা শেষ। খাম্বা ছিল বিএনপি নেত্রীর ছেলের কোম্পানি। খাম্বা বানাত আর খাম্বা দিত। রাস্তার পাশে শুয়ে আছে খাম্বা, বিদ্যুতের খবর নেই। এটাই ছিল বাংলাদেশের চেহারা। তিনি বলেন, আমরা এখন ১৫ হাজার ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। আজকে বিদ্যুতের হাহাকার নেই।
গ্রামের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি গ্রামই একটি নগর হিসেবে গড়ে উঠবে। গ্রামের মানুষও উন্নত জীবন পাবে। সেটাও আমরা নিশ্চিত করব। সমগ্র বাংলাদেশই হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলাদেশ।’
জনসভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন প্রমুখ।
পঁচাত্তরের পরই বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পরই দেশের উন্নয়ন কর্মকা- থেমে যায়।
তিনি বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে বাংলাদেশের মানুষ যখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। আর এরপর যারাই ক্ষমতায় এসেছে, ‘নিজেদের আখের গোছানোই’ ছিল তাদের একমাত্র লক্ষ্য। পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা কখনো জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে চায়নি। কারণ, তাদের দেহ এ দেশে থাকলেও মন পড়ে থাকত পাকিস্তানে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ২৫-৩০ বছর আগেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হতে পারত, সবাই সুখে শান্তিতে জীবন-যাপন করতে পারত। পঁচাত্তরের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে, ‘নিজেদের আখের গোছানোই’ তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তারা কখনো জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে চায়নি। কারণ তাদের দেহ এ দেশে থাকলেও মন পড়ে থাকত পাকিস্তানে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতার শুরুতে বলেন, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করেছিল। এখান থেকেই জাতির পিতা ১৯৭১ সালে সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে এ দেশের মানুষ অস্ত্র হাতে নিয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। সাত মার্চের ভাষণে জাতির পিতা যে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের জনগণ তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে যে নির্দেশ দিতেন, দেশের মানুষ সেই নির্দেশ পালন করতেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলার মানুষের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, বিশ্বজনমতের চাপে পাকিস্তানি শাসকরা তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। আজকের এই দিনে জাতির পিতা ফিরে আসেন তার আপন জন্মভূমি, তার প্রিয় বাংলাদেশে। তিনি সর্বপ্রথম এসেছিলেন এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আমরা পরিবারের সদস্য অপেক্ষা করছিলাম। আমার মা অপেক্ষা করছিলেন। কখন আমার বাবা ঘরে যাবেন। কারণ, ২৫ মার্চ শুধু হানাদাররা গণহত্যা চালায়নি। স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার পর জাতির পিতাকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে আমার মাকেও গ্রেপ্তার করে ১৮ নম্বর রোডের একটি বাসায় বন্দি কেরে রেখেছিল। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পায়। আর আমরা মুক্তি পেয়েছিলাম ১৭ ডিসেম্বর। সেই থেকে অপেক্ষার পালা। সেই অপেক্ষার শেষ হয় ১০ জানুয়ারি।
শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের হত্যাকা-ের পর বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল হত্যা, খুন, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালা। পাকিস্তানি বাহিনীর যারা দোসর ছিল, যারা মা-বোনদের পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছিল, যারা গণহত্যা চালিয়েছিল, যারা এদেশের মানুষকে খুন করেছিল, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে ছারখার করেছিল, এই বাংলাদেশের কিছু কুলাঙ্গার ওই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে গ্রামের পথ দেখিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে গিয়েছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। সেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। অনেকেই কারাগারে বন্দি ছিল, অনেকের নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয় ১৫ আগস্টের পর এই হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেই যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে দেয়। পরে তাদের এমপি-মন্ত্রী বানানো হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, তখন বাংলাদেশে ১৯টি ক্যু হয়েছিল। পুরো রাত কারফিউ থাকত। জিয়াউর রহমান প্রতিরাতে কারফিউ দিয়ে দেশ চালাত। রাত ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ থাকত। এদেশের মানুষের স্বাধীনভাবে চলার কোনো ক্ষমতাই ছিল না। মানুষের স্বাধীনতার ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়। মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদের বিপথগামী করা হয়েছিল। তাদের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে জিয়া তার রাজনৈতিক অভিলাষ পূরণ করার চেষ্টা করে। একদিকে সামরিক বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালায়, অন্যদিকে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ধরে হত্যাকা- চালায়। এভাবে দেশের সবকিছু ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬ টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারা দেশে সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭ টার দিকে বঙ্গবন্ধু ভবনে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। বেলা আড়াইটা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল ১০ জানুয়ারি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়। দিবসটি উপলক্ষে আলাদা বাণী দেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী হানাদাররা বাঙালির অবিসংবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করা হয়। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাঙালিদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।