Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অচিরেই হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নেয়া হবে সুন্দরগঞ্জে আইজিপি

| প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গাইবান্ধা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হক, বিপিএম পিপিএম বলেন- গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকারী যেই হোক না কেন, অচিরেই তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নেয়া হবে। তিনি বামনডাঙ্গা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় মতবিনিময় সভায় গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বিপিএম-এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- রংপুর রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম পিপিএম, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, জেলা কমিউনিটি পুলিশের আহ্বায়ক আব্দুস ছালাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, নিহত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন আফরোজা বানু, এমপি পতœী সৈয়দা খুরশীদ জাহান হক স্মৃতি প্রমুখ। বক্তৃতাকালে ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেনÑ সার্বিকভাবে এ এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। কিন্তু এর মধ্যে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেনÑ খুনিরা যেই হোক তাদেরকে খুঁজে বের করবই। খুনিদের শনাক্তকরণে আমাদের সর্বোচ্চ বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছেন। আইজি শহিদুল হক আরও বলেনÑ যে এলাকায় ৪ জন পুলিশকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেই এলাকা শান্তি প্রিয় এলাকা নয়। এটা নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসী এলাকা। তিনি সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা পার পাবেন বা বেঁচে যাবেন এটা মনে করবেন না। আমরা স্বাধীনতাকামী শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমরা অস্ত্রশস্ত্রে বলিয়ান। আমরা স্বাধীনতার দ্বীপ্ত শপথ নিয়ে বলছি এমপি লিটনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করবই করব। উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা আমাদের প্রতি আস্থা রাখেন। আমরা এই খুনিদের খুঁজে বের করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনব। সারাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে যতগুলো জঙ্গি মারা গেছে তার অধিকাংশই উত্তরাঞ্চলের। এদের অধিকাংশই পুলিশের ক্রস ফায়ারে মারা গেছে। বাংলার জমিতে আর কখনোই জঙ্গিদের ঠাঁই হবে না। তিনি আরো বলেনÑ এ অঞ্চলে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা অত্যন্ত জোরদার রয়েছে। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বলেনÑ শহর বন্দর ও গ্রাম অঞ্চলে যারা কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্য রয়েছে তাদেরকে সম্মান দেখাবেন, তাদের কথা শুনবেন ও তাদের গ্রহণযোগ্য মতামতের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবেন। গাইবান্ধায় বাল্য বিয়ে নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। এ অবস্থা ধরে রাখতে হবে। এ জন্য সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সভায় এমপি পতœী সৈয়দা খুরশীদ জাহান হক স্মৃতি অত্যন্ত বেদনা ও কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দেখতে চাই এবং হত্যাকারীদেরও দেখতে চাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ