পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ১/১১-এর সরকারের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ১/১১-এর ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের অবৈধ সরকারের সম্প্রসারণ বা ধারাবাহিকতা মাত্র। যে উদ্দেশ্যে ১/১১ এসেছিল গণতন্ত্রকে হত্যা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। আজকে কী হয়েছে? সেই আন্তর্জাতিক চক্র আওয়ামী লীগকে বসিয়ে দিয়ে আজকে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করেছে। আজকে আপনারা দেখেনÑ এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার নাই, মানুষ আজ ভোট দিতে পারে না।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ফখরুদ্দিন আহমদের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। যারা দুই বছর ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিদায় নিয়েছিল।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে ‘১/১১-এর সরকার : কলঙ্কজনক ইতিহাস’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে জনগণ ভোট দিতে যায়নি, ভোট দিতে পারেনি। যেহেতু এই সরকার অনির্বাচিত, জনসমর্থিতবিহীন সরকার, ভোটবিহীন সরকার, সেজন্য দেখা গেলো তারা যতগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছে, জনগণ সেখানে ভোট দিতে পারেনি। তাদের কর্মীরা, তাদের নেতারা আগের দিন রাতে ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে, ভোট বাক্স ছিনতাই করে, প্রশাসনের সহযোগিতায় নিজেরা নিজেদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। জনগণের ভোটাধিকার আজ আওয়ামী লীগের সরকারের বাক্সে বন্দি, দেশের গণতন্ত্র তাদের বাক্সে বন্দি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে সরকার আমাদেরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেয় না। কিন্তু অনেকের সভা দেখলাম। এমনকি গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, তারাও সেখানে সমাবেশ করলেন। এরপরে আরো সমাবেশ হয়েছে সরকারি দলের। আজকেও তারা সমাবেশ করেছে।
সংবিধানে সকলকে সমাবেশ করার, সকলকে কথা বলার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই সরকার যেহেতু গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না, তারা সংবিধানকে পরোয়া করে না, সেজন্য তারা আমাদেরকে সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তারা ফ্যাসিস্ট, গায়ের জোরে ক্ষমতায় দখল করে আছে। এ থেকে উত্তরণে সকলকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বানও জানান ড. খন্দকার মোশাররফ।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমীন, নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।