Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র : সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে যোগ্য শিক্ষার্থী যাচাই সম্ভব নয়

| প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বিশ্ববিদ্যার আলয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনের লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ভর্তি নামক মহাযুদ্ধের মাধ্যমে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর আগে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের অভিমত নেওয়া দরকার। কোনো রকম আলোচনা-গবেষণা ছাড়াই ‘ক্লাস্টার সিস্টেম’ চালু করলে তা বুমেরাং হতে পারে গোটা শিক্ষাব্যবস্থার ওপর। ইউরোপীয় অধিকাংশ দেশে পড়তে হলে আইইএলটিএস এ ভালো স্কোর দরকার (যা দ্বারা বোঝা যায় পরীক্ষার্থী ক্লাস লেকচার বুঝবেন কিনা ইত্যাদি)। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৈচিত্র্যপূর্ণ বিষয়ে পড়ানো হয়। বৈচিত্র্যপূর্ণ বিষয়ের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী যাচাই কি একক সমন্বিত প্রশ্নপত্র দ্বারা আদৌ সম্ভব? একজন আইনে পড়ার যোগ্য শিক্ষার্থী নাট্যকলায় ভর্তি হলে যেমন গুণী নাট্যকার বের হবেন না, ঠিক তেমনি একজন নাট্যকলায় পড়ার যোগ্য শিক্ষার্থী আইনে পড়লে ভালো জজ-ব্যারিস্টারও পাওয়া যাবে না। বিষয়ভিত্তিক যোগ্য প্রার্থী যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন বিষয়ভিত্তিক আলাদা প্রশ্নপত্র। তাই সর্ব প্রকার বিদ্যাশিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন এমন পদ্ধতি চালু না হয় যে পদ্ধতি কুনোব্যাঙ তৈরি করে। কেউ প্রতিভা নিয়ে জম্মায়, আবার কেউ প্রতিভা জন্ম দেয়। তাই কাকে কোথায় স্থান দিতে হবে তা কর্তাব্যক্তিদেরই খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু আলোচনা-সমালোচনা-গবেষণা ছাড়া কোনো পরীক্ষা পদ্ধতিই কাম্য নয়। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন সরকারি কলেজে পরিণত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করার আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে যাবতীয় বিষয় ভেবে দেখার বিনীত নিবেদন রইল।
মহসিন মিজান আপ্পি
আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

পুলিশ ক্যাম্প চাই
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন ৩ নম্বর কালোচোঁ উত্তর ইউনিয়নে শীত মৌসুমে প্রায় রাতেই চুরি-ডাকাতি হয়। থানা শহর থেকে প্রায় ১৩/১৪ কিলোমিটার দূর হওয়ায় ইউনিয়নটির প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি রাখা কষ্টকর। তাই এ ইউনিয়নে একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প প্রয়োজন। এখানে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প থাকলে এ ইউনিয়ন ছাড়াও আশপাশের লোক একটু স্বস্তিতে রাত যাপন করতে পারত। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আশু উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
বরুণ কুমার নন্দী
রাজাপুর, খিলপাড়া, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

পথচলা হোক আনন্দের
এই নতুন বছর আমাদের পথচলা হোক আনন্দের সুখের, শান্তির। আমরা কোনো কান্না দেখতে চাই না, বেদনা দেখতে চাই না। সবাই যেন মিলেমিলে হাসি-আনন্দ-বেদনা একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারি। কেউ যেন দুঃখ না পায়, কষ্ট না পায়, নির্যাতিত না হয়, লাঞ্ছিত না হয়। আমরা কেউই যেন কারো দুঃখের কারণ হয়ে না দাঁড়াই। এই নতুন বছর হোক ক্ষুধা-দারিদ্র্য, জঙ্গিবাদ, জোর-জুলুম, জবরদখল, মারামারি, হানাহানি, কাটাকাটি, দুর্নীতিমুক্ত। আমরা সন্ত্রাস, গুম, খুন, অপহরণের কথা শুনতে চাই না। এই নতুন বছরে আমাদের চেতনা বিবেকবোধ আরো জাগ্রত হোক। আমরা যেন জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হই।
মিলন সরকার
বাঁচাইয়া, কচুয়া, চাঁদপুর।
জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেলপথ

ডাবল লাইন করা হোক
দেশের ৬৪টি জেলার শহরকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ময়মনসিংহ জেলা বর্তমানে বিভাগে উন্নীত হয়েছে। বিভাগীয় শহর হিসেবে ময়মনসিংহ জেলা রাজধানী ঢাকার খুব কাছেই। অথচ কর্মসংস্থানের দিক থেকে ময়মনসিংহ এখনো অনেক পিছিয়ে। রেলপথে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের দূরত্ব ১২৩ কিলোমিটার, যা সড়ক পথের চেয়ে ১ কিলোমিটার বেশি। বর্তমানে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কপথ চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। এতে করে সড়কপথে গেটলক সার্ভিস বাসে মহাখালী পৌঁছাতে সময় লাগছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। কিন্তু রেলপথ সিঙ্গেল লেন হওয়ায় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগে। তাই যাত্রীদের অনেকেই সময় বাঁচাতেও কাজের গুরুত্ব বিবেচনায় সড়কপথে যাত্রা করছেন। এ অবস্থায় জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ ডাবল রেলপথ নির্মাণ করলে আবার বহুযাত্রী রেলমুখী হবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ হয়ে জামালপুর পর্যন্ত রেলপথের সিগন্যালিংয়ের আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শোনা যাচ্ছে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি জামালপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। এতে করে ময়মনসিংহ জেলাসহ জামালপুর ও নেত্রকোনার যাত্রীদের ঢাকা যাতায়াতের সুবিধা হবে। বর্তমানে ময়মনসিংহ-ঢাকা রেলপথে ৫-৬টি আন্তঃনগর, ৩-৪টি কমিউটার ও ৫-৬টি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে। এতে করে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সিঙ্গেল রেলপথে বাড়তি চাপ পড়ছে। ট্রেনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় দীর্ঘসময় ক্রসিং দিতে হচ্ছে। প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনকে অন্তত দু-তিনটি ক্রসিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে। এতে এই রেলপথে যাত্রার সময় বেশি লাগছে। জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত করা হলে স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে নিরাপদে ও আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি ময়মনসিংহের জন্য আলাদাভাবে একটি আধুনিক আন্তঃনগর ট্রেন মোমেনশাহী এক্সপ্রেস নামে শুধু ঢাকা-জয়দেবপুর-গফরগাঁও-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলের ব্যবস্থা করলে রেলের আসনযুক্ত টিকিট প্রাপ্তির বিড়ম্বনা থেকে ময়মনসিংহবাসী মুক্তি পাবে ও তারা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এম আই করিম
কাঁচিঝুলি, ময়মনসিংহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন