Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রেসক্রিপশন পড়ার উপযোগী করার নির্দেশ

| প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) পড়ার উপযোগী বা বড় হাতের অক্ষরে বা ছাপা অক্ষরে লেখার বিষয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সার্কুলার জারির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতর মহাপরিচালক, বিএমডিসির  রেজিস্ট্রারকে এই সার্কুলার জারির বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের  প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ ছাড়া প্রেসক্রিপশন পড়ার যোগ্য অক্ষর অথবা বড় হাতের অক্ষর অথবা ছাপা অক্ষর এই তিনটির যে কোনো একটি পদ্ধতিতে দেয়ার বিষয়ে এবং ওষুধের নাম জেনারিক টার্মে (প্রকৃত নাম) লেখার বিষয়ে সরকারকে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিএমডিসির রেজিস্ট্রার, বিএমএ’র মহাসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকেেদর বলেন, সার্কুলার জারির নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে জানাতে বলা হয়েছে। রিট আবেদনের বিষয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, ব্যবস্থাপত্রে অস্পষ্ট লেখার কারণে জটিলতা তৈরি হয়। রোগীরাও বুঝতে পারেন না, ফার্মেসির বিক্রেতারাও বোঝতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে ভুল ওষুধ দেয়া হয়। ফলে রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। এ জন্য ব্যবস্থাপত্র স্পষ্ট করে এবং জেনেরিক নামে লেখা উচিত।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর ‘দুর্বোধ্য ব্যবস্থাপত্র : ভুল ওষুধ গ্রহণের ঝুঁকিতে রোগীরা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত এই আদেশ দেন।
পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রের দুর্বোধ্যতার কারণে প্রতিনিয়তই বিপাকে পড়ছেন অনেকে। অনেক সময় ওষুধের দোকানিরাও ব্যবস্থাপত্রের লেখা পড়তে ব্যর্থ হন। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন দরিদ্র ও অশিক্ষিত  রোগী ও তাদের স্বজনরা। বিভিন্ন ওষুধের দোকানে কমর্রতদের ওপর অনেকটা অন্ধভাবেই আস্থা রাখতে হয় সাধারণ মানুষকে। এতে রোগীদের ভুল ওষুধ গ্রহণের ঝুঁঁকি বাড়ছে ভয়াবহভাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ