পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হুজুগে না মেতে কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করুন।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক বিবরণী এবং অন্যান্য তথ্য নিয়ে যেন বিনিয়োগ করেন; আমি চাইব। কোনো তথ্য নেবেন না, যেখানে সেখানে একটা বিনিয়োগ করে তারপর হারিয়ে, তারপর আসে কী, সব দোষ সরকারের, সব দোষ অর্থমন্ত্রীর। এটা যেন না হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম’র উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এক লাখ স্কয়ার ফুট আয়তনের ১০তলা এই ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
কিভাবে, কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে; তা একান্তভাবে জানতে হবে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাঙালি, আমাদের সাধারণ চরিত্র হচ্ছে, হুজুগে মাতা। আমরা হঠাৎ হুজুগে মেতে এমন করে ফেলি, শেষে সবকিছু হারিয়ে হায় হায় করি। এটা যাতে না হয়, সেজন্য এই বিনিযোগ শিক্ষা আমি মনে করি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যখন বিনিযোগ করতে চান, তখন সেসব কোম্পানির সার্বিক তথ্য জানা দরকার। এই জন্য আমি বারবার বলব, যারাই বিনিয়োগ করবেন, তারা অবশ্যই কোন কোম্পানিতে করছেন, তাদের আর্থিক অবস্থাটা কী, তাদের কী কী সক্ষমতা আছে; সব কিছু তথ্য নিয়ে বিনিযোগ করবেন। কারণ ঝুঁকি তাদেরই নিতে হবে; তাদের মাথায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। পুঁজিবাজার হবে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের এক নির্ভরযোগ্য উৎস। সর্বস্তরের বিনিয়োগকারিদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং যৌক্তিক বিনিয়োগের কলা-কৌশল সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে বিএসইসি’র দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এতে বিনিয়োগকারী উপকৃত হবার পাশাপাশি জ্ঞাননির্ভর বিনিয়োগ গোষ্ঠীর উপস্থিতির ফলে দেশের পুঁজিবাজার আরো গতিশীল হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, স্টক এক্সচেঞ্জ ও তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহ সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাজারের কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তুলবে। যা সেবা আর অবকাঠামো খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তাঁর সরকারের পদক্ষেপের ফলে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সারাবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। কাজেই পুঁজিবাজার ও অব্যাহত বিকাশমান এবং সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে আজ বিশ্বসভায়ও আমরা ধীরে ধীরে প্রতিফলিত হচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিকাশ, অবকাঠামো উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থিক শৃংখলা ও স্থিতিশীলতা সমুন্নত রাখা। সেই লক্ষ্য অর্জনেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য পুঁজিবাজার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি সরবরাহের ব্যবস্থা করে থাকে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীগণ তাদের সঞ্চয় সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের সুযোগ পান। এরফলে শিল্প ও কলকারখানা বিকাশের পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএসইসি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নবনির্মিত ১০তলা অফিস ভবন উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল রোববার সকালে ফলক উন্মোচন করে বিএসইসির নতুন অফিস ভবনের উদ্বোধন করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এসইসি’র চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। দেশের স্টক মার্কেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অফিস ভবন নির্মাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর এই ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এসইসি’র নিজস্ব ভবনের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এই ভবন নির্মাণের মাধ্যম পূরণ হয়েছে। সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিএসইসি ভবন প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসইসি’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।