পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে মানবসৃষ্ট ত্রুটির ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ বিমানের সাত কর্মকর্তাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিদের জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স) এস এ সিদ্দিক, প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফর রহমান, বিমল চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুবুল আলম দুই দফা রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
আবেদনে তিনি বলেন, আসামিরা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে বিমানে ইচ্ছাকৃতভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি করেছিল বলে প্রতীয়মান হয়। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর আট দিন এবং ২২ ডিসেম্বর আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগার পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর এবং ৫ জানুয়ারি এ দুই আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে (বোয়িং-৭৭৭) যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে তুর্কমেনিস্থানে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। অন্য একটি উড়োজাহাজ পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের হাঙ্গেরি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হলেও পরে ত্রুটি সারিয়ে ওই উড়োজাহাজেই হাঙ্গেরি যান প্রধানমন্ত্রী। ওই ঘটনায় নয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
ওই ঘটনায় গত ২০ ডিসেম্বর রাতে বিমানের নয় কর্মকর্তাকে আসামি করে বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এম এম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন। দ-বিধির ১০৯, ১১৮, ১২০ (খ), ২৮৭ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় মামলাটি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।