Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৮ দিনেও হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি ৬ জনের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গাইবান্ধা জেলা ও সুন্দরগঞ্জ সংবাদদাতা : সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা ঘটনার ৮ দিন অতিক্রান্ত হলেও হত্যার কারণ উদ্ঘাটিত হয়নি বা মূল আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি। এ নিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষদের চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তদুপরি দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে খুনিরা ধরা না পড়ায় অনেকের মধ্যেই নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে। ব্যবসায়িরা বলছেন, একটা সার্বক্ষণিক আতঙ্ক বিরাজ করায় ব্যবসা-বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের কথা লিটনের মত একজন প্রভাবশালী এমপিকে নিজ বাড়িতে খুন করার পরেও যদি খুনিরা ধরা না পড়ে তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি। তবে পুলিশ সূত্র থেকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকা- সম্পর্কে প্রকৃত কোন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না। তারা তদন্তের অজুহাতে এখনও বিষয়টি চাপা রাখছেন। এমনকি গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা সত্ত্বেও তাদের সংখ্যা এবং গ্রেফতারকৃতদের সম্পর্কেও কোন তথ্য প্রদান বা তাদের নাম জানাতেও তারা গড়িমসি করছেন। তাদের এহেন রহস্যজনক আচরণে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে যদিও শনিবার পর্যন্ত এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩৯ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। তবে এর মধ্যে ইতোপূর্বে ২১ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। শনিবার আরও ১২ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হলেও তারমধ্যে ৬ জনকে লিটন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরা হলেন, হাজী ফরিদ উদ্দিন, সামিউল হক, হাদিসুর রহমান, জিয়াউল হক, নবীনুর রহমান ও হযরত আলী। উল্লেখিত, ওই ৬ জনের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ গ্রেফতারকৃত ওই ৬ জনের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন আদালতে জমা দিয়েছে। তবে শুনানি না হওয়ায় তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আজ এই রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।  
এছাড়া বাকি ৬ জনকে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তারা হলোÑ ইউসুফ আলী, মাজেদুল হক প্রামানিক, হুমায়ুন কবির লিটন, আতিকুর রহমান আতিক ও আতাউর রহমান।
অন্যতম আসামি রতনের গ্রেফতার অভিযান ব্যর্থ ঃ সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের বিভিন্ন নাশকতা মামলাসহ এমপি লিটন হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে রতনকে গ্রেফতার করতে শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকস্মিক অভিযান চালায় র‌্যাবের একটি দল। তারা বাড়ি ঘেরাও করে রাখে কিন্তু র‌্যাব রতনকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়। রতন বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, লিটন হত্যার সাথে ওই রতনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ ও বামনডাঙ্গায় শোকসভা র‌্যালী : এমপি লিটন হত্যার প্রতিবাদে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা এলাকায় শনিবার বিশাল এক শোক র‌্যালী ও শোক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই শোক র‌্যালীটি বামনডাঙ্গার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে রেল স্টেশন সংলগ্ন বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস সম্মুখস্থ মাঠে এক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে বামনডাঙ্গা এলাকার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ রেখে সকল প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্মচারি, দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ এই কর্মসূচীতে অংশ নেয়।
অপরদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল পূর্ব ডি ডাব্লিউ ডিগ্রী কলেজ চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র আব্দুল্যাহ আল মামুন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম, পৌর সেক্রেটারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, আহসানুল করিম চাঁদ, যুবলীগ নেতা রেজাউল আলম রেজা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ