পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ফের বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা দিয়েছে যুক্তরাজ্য (ব্রিটেন) সরকার। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে দেশটির নাগরিকদের সতর্ক হয়ে চলতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, আল কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের (একিউআইএস) সাথে সম্পৃক্ত গ্রুপগুলো এখনো সক্রিয়। এর আগের সন্ত্রাসী হামলাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা রয়েছে উচ্চ সতর্কতায়। ৫ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে এক সতর্কবার্তায় এসব কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ১৩-১৫ জানুয়ারি ও ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি দু’দফায় টঙ্গির তুরাগ নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। এ সময় ইজতেমায় যোগ দেয়া মানুষের ব্যাপক চাপ থাকতে পারে প্রায় সব সড়কে। মহাখালি, কাকলি, নিকুঞ্জ, বিশ্বরোড, খিলক্ষেত, উত্তরা ও টঙ্গিতে। ঢাকায় শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়া-আসা বিঘিœত হতে পারে।
ওই সতর্কবার্তায় আরো বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে ২০ জিম্মি ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তাদেরকে আরো বলা হয়েছে, স্থানীয় মিডিয়া অনুসরণ করে চলাচল করতে। সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকা, যার বিষয়ে স্থানীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন বা দেবেন তা এড়িয়ে চলা উচিত।
যুক্তরাজ্য সরকারের ওই সতর্কবার্তায় আরো বলা হয়েছে, ১ জুলাই সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে দায়েশ বা আইসিস। তারা ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বেশ কিছু সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক এমন জীবনধারায় বিশ্বাসী এমন অনেক মানুষকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তারা। সাম্প্রতিক হামলাগুলোর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা রয়েছে উচ্চ সতর্ক। আরো সন্ত্রাসী হামলার উচ্চমাত্রার ঝুঁঁকি রয়েছে। বিশেষ করে বিদেশিদের টার্গেট করে হামলা হতে পারে। যেসব স্থানে পশ্চিমারা সমবেত হন, এমন লোকজনপূর্ণ এলাকা রয়েছে হামলার উচ্চ ঝুঁঁকিতে। এসব এলাকায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে ব্রিটিশ নাগরিকদের উপস্থিতি জানান দিতে বলা হয়েছে। চলাচল করতে বলা হয়েছে সতর্কতার সাথে। আগেভাগে নিতে বলা হয়েছে নিরাপত্তা-বিষয়ক সতর্কতা। ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ে মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে ইউকে ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্ট।
এরপর বলা হয়েছে, ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নয়। যাতে এসব মান নিশ্চিত করা যায়, সে জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতামূলক কাজ করছে যুক্তরাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, প্রতি বছর দেড় লাখেরও বেশি ব্রিটিশ বাংলাদেশ সফর করে থাকেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।