পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের কামারপাড়া ব্রিজের উভয় পাশে তুরাগ নদীর তীরভূমিতে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে কিনা, তা দেখতে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে গাজীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে তদন্ত শেষ করে ১ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। মুখ্য বিচারিক হাকিম না পারলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের নিচে নয়, এমন কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং টঙ্গী ও তুরাগ থানার ওসিকে তদন্ত কাজে সহায়তা করতে বলা হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মফিজুর রহমান। পরে আদেশের বিষয়ে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। যেখানে ওই এলাকা থেকে ৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে নদীর জমিতে আরও অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। তাই বিষয়টি পুনরায় তদন্ত চেয়েছি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকার চারপাশে চার নদীর মামলার জরিপ অনুসারে উচ্ছেদ হয়েছে কিনা তাও তদন্ত প্রতিবেদনে আনতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তুরাগ নদীর এই এলাকা থেকে মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণ কাজ বন্ধে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, ওয়াপদা ও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং টঙ্গী ও তুরাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ভরাটের সঙ্গে জড়িতদের নামের একটি তালিকা গাজীপুর জেলা প্রশাসককে তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া ভরাট বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছিলেন আদালত। নদী দখল ও ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কেন পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না এবং যেটুকু ভরাট ও নির্মাণ কাজ করা হয়েছে তা ভরাটকারীদের নিজ খরচে অপসারণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।
গত বছর ৬ নভেম্বর ইংরেজি দৈনিকে ‘টাইম টু ডিক্লেয়ার টুরাগ ডেড’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যেখানে বিভিন্ন অংশে তুরাগ নদী ভরাটের মাধ্যমে স্থাপনা নির্মাণের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদনকে সংযুক্ত করে গত ৭ নভেম্বর পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ এর পক্ষে একটি রিট দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।