পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিডি ওয়েল্ডিং ইলেক্টরট্রোডস লিমিটেডের অধিকাংশ মেশিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আর এতে কোম্পানির লোকসান দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এর ফলে কোম্পানির ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে আছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিরীক্ষক জানায়, ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত অর্থ-বছরের হিসাব নিরীক্ষাকালে কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে। কিন্তু পরিদর্শনকালে নিরীক্ষক দেখতে পায় কারখানার অধিকাংশ মেশিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিরীক্ষককে জানায়, বিভিন্ন সমস্যার কারণে এমন অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে উৎপাদন কমছে এবং অধিকাংশ মেশিন অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে তা স্পষ্ট করেনি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে লোকসানের কারণে সময়মতো ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি কোম্পানিটি। এতে ঋণখেলাপি হিসেবে কোম্পানিটির নাম উঠেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফর্মেশন ব্যুরো (সিআইবি) প্রতিবেদনে। তাই কোম্পানিটির ঋণের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যাংক ঋণ সরবরাহ করতে পারছে না। আর এসব কারণে কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ দিনে দিনে অন্ধকারের দিকে ঠেলে পড়ছে বলে এ ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে নিরীক্ষক প্রতিবেদক।
ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে নিরীক্ষক জানায়, মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছে বিডি ওয়েল্ডিংয়ের মোট ৩৫ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার টাকার ঋণ রয়েছে। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি কোম্পানিটি। মূলত লোকসান এবং অর্থ সঙ্কটের কারণে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি কোম্পানিটি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি প্রতিবেদনে তাদের নাম উঠেছে। আর এর জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ঋণ চেয়ে ধরনা দিলেও মিলছে না টাকা। এ প্রসঙ্গে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখা জমি বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। এদিকে, ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিডি ওয়েল্ডিংয়ের পাওনা রয়েছে ২২ কোটি ৭৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫৭৮ টাকা।
নিরীক্ষক এমন তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি দেয়। কিন্তু একমাসেও নিরীক্ষক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এ সম্পর্কে কোন তথ্য পায়নি। তাই পাওনা বিষয়ে কোম্পানির দেওয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি নিরীক্ষক।
২১ কোটি ৭৭ হাজার টাকার কাঁচামাল মজুদ আছে বলে নিরীক্ষকের কাছে দাবী করেছে কোম্পানিটি। কিন্তু নিরীক্ষক এসব কাঁচামালের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। পাশাপাশি ডিভিডেন্ড বাবদ ৩২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়নি। কারণ এ টাকার কোন দাবীদার পাওয়া যায়নি। কিন্তু নিরীক্ষক এ টাকার অস্তিত্ব এমনকি এ টাকা কোথায় আছে এর কোন ব্যাংক সার্টিফিকেট বা প্রতিবেদন পায়নি।
এছাড়া কোম্পানিটি ৪৯ কোটি ৩০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার সম্পদ আছে বলে নিরীক্ষককে জানিয়েছে। অথচ এর মধ্যে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৬১ হাজার টাকার সম্পদের কোন অস্তিত্ব পায়নি নিরীক্ষক। পাশাপাশি কোম্পানিটি হিসাব মান অনুযায়ী বিলম্বিত কর হিসাব করেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।