Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে ৪৮ লাখ টাকার ভারতীয় কিসমিসের চালানসহ ট্রলার আটক

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সীমান্তের বর্ডারহাট থেকে অবৈধভাবে আসা ট্রলারসহ ভারতীয় কিসমিসের ৪৮ লাখ টাকার চালান সুনামগঞ্জ- ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের বিজিবির টহলদল আটক করেছে। ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল নাসির উদ্দিন আহমেদ পিএসসি গতকাল বুধবার জানান, জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাটের মিয়ারচরবাজার সংলগ্ন জাদুকাটা নদী পথে ভৈরবগামী একটি স্টিলবডি ট্রলারে করে মঙ্গলবার বিনাশুল্কে চোরাই পথে নিয়ে আসা  এক হাজার একশ’ ৬০ কেজি ভারতীয় কিসমিসের একটি বড় চালান মাছিমপুর বিওপির বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার মো. আবদুল মান্নান খানের নেতৃত্বে আটক করা হয়।’
কিসমিসের কোনো বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারায়  বিজিবি রাতে স্টিলবডি ট্রলারসহ কিসমিসের চালানটি জব্দ করে নিয়ে আসে। আটককৃত কিসমিস ও ট্রলারের মূল্য প্রায় ৪৭ রাখ ৫৪ হাজার ৭৮০ টাকা।’ এদিকে ভৈরবের আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামের মৃত হাজি আবদুল কাদিরের ছেলে আফিল মাঝি বলেন, আমি ভৈরব থেকে ট্রলারে করে তাহিরপুরের বাদাঘাট ও বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারচরসহ একাধিক বাজারের মালামালা আনা নেয়ার কাজ করে থাকি, বিজিবির হাতে আটককৃত কিসমিসের চালানটি তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে আল- আমিন আমাকে না বলেই মঙ্গলবার সকালে জোর করে আমার ট্রলারে লোড করে ভৈরব পাঠানোর জন্য।’ কিসমিস চালানের দাবিদার আল আমিন বুধবার বলেন, আমি ভৈরব থেকে এলসিকৃত কিসমিস নিয়ে এসেছিলাম, মালের গুণগত মান ভালো না হওয়ায় ভৈরব ফেরত পাঠানোর জন্য ট্রলারে লোড করেছিলাম, এসব কিসমিস চোরাই পথে আনা হয়নি।’
বিজিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, বেশ কিছু সংঘবদ্ধ চোরাচালানি চক্র  গত কয়েক বছর ধরে প্রায়ই  সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ডলুরা বর্ডারহাট থেকে সরকার নির্ধারিত ডলারের অতিরিক্ত ভারতীয় পণ্য সামগ্রী হুন্ডির মাধ্যমে গোপনে লাখ লাখ রুপী লেনদেন করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারতীয়, কমলা, সুপারী, পান, জিরা, মসলা, কসমেটিকস, কিসমিস, গুড়ো দুধ হরলিকস, শীতের কাপড়সহ নানা পণ্য বাস ট্রলারে করে রাজধানী ঢাকাসহ ভৈরব, সিলেট ও জেলার স্থানীয় বাজারগুলোতে গত কয়েক বছর ধরেই সরবরাহ করে আসছে। ওই বর্ডারহাটে সরকারি অনুমোদনবিহীন কার্ডধারী ছাড়াও প্রতি মঙ্গলবারের অবৈধভাবে শত শত লোকজন প্রবেশ করে কেনা-কাটার নামে ওপারের চোরাচালনিদের সাথে লেনদেন করে এসব মালামাল এপারে নিয়ে আসছে।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন আবারও অনিশ্চিত
যশোর ব্যুরো : পূর্বঘোষিত তারিখে যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচন আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চেম্বারের প্রশাসক ও নির্বাচনী আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান না থাকার কারণে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে নির্বাচন পেছানোর জন্য বলেছেন। যে কারণে আগামী ৯ জানুয়ারি চেম্বারের নির্বাচন হচ্ছে না।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন বোর্ডের আহ্বায়ক যুব উন্নয়ন অধিদফতর যশোরের উপ-পরিচালক এ টি এম গোলাম মাহাবুব জানান, চেম্বারের প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন এবং নির্বাচন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল হাসান পদোন্নতি পেয়ে যশোর থেকে চলে গেছেন গত ডিসেম্বর মাসে। যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদ শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে করে আমরা নির্বাচন পরিচালনার জন্য ব্যয় বহন করতে পারছি না। আবার আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান না থাকায় প্রার্থীরা আপিলও করতে পারছেন না। এই অনিশ্চিয়তায় মঙ্গলবার আমি জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, নির্বাচন পরিচালনা করা অসম্ভব। জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ন কবীর জানান, চেম্বার অব কমার্স থেকে চিঠি পাবার পর আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি নির্বাচন পেছানোর জন্য। গত ৮ ডিসেম্বর ৪৮ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে সাধারণ শ্রেণির প্রার্থী রয়েছেন ৩২ জন, সহযোগী শ্রেণীর ১৫ জন এবং একজন গ্রুপ শ্রেণীর প্রার্থী রয়েছেন।  
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর সরকার যশোর চেম্বার অব কমার্সে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। এরপর তিনদফা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও নির্বাচন করতে পারেননি তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ