পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধায় সংসদ সদস্য লিটন হত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, এ ধরনের হত্যাকান্ড মেনে নেয়া যায় না। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিচার করা হবেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিকে সংসদ সদস্যকে এভাবে হত্যা করা, এটা কখনই মেনে নেয়া যায় না। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার সকালে গণভবন থেকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রংপুর বিভাগের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
বাংলার মাটিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে স্থান না দেয়ার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে আমাদের গাইবান্ধায় একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য যে এই জামায়াত-শিবিরের অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াত, মানুষকে সবসময় নিরাপত্তা দিত, তাকেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিকে সংসদ সদস্যকে এভাবে হত্যা করা এটা কখনই মেনে নেয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছি- যারা সংসদ সদস্য হত্যার সঙ্গে জড়িত যে কোনভাবে তাদেরকে (আঁততায়ীদের) খুঁজে বের করতে হবে। কারণ ওই সুন্দরগঞ্জে আমরা জানি তারা কিভাবে তান্ডব চালিয়েছিল। কিভাবে তারা দোকানপাট, সরকারি অফিস আদালত পুড়িয়েছিল। কিভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পুলিশকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনে ওই এলাকার মানুষ ছিল অতিষ্ঠ।
এর বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছিল এই লিটন আমাদের এমপি। অথচ তাকেই তারা হত্যা করলো। কাজেই এ ধরনের জনপ্রতিনিধিকে হত্যাকান্ড আমরা কখনই মেনে নিতে পারি না।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, এই হত্যাকান্ডের বিচার হবেই বাংলার মাটিতে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে বলব যেভাবেই হোক অপরাধীদের খুঁজে বের করতে হবে এবং এদের উপযুক্ত শাস্তি অবশ্যই দিতে হবে।
গাইবান্ধার পুলিশ হত্যার নিষ্পত্তি না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর হতাশা :
গাইবান্ধায় চার পুলিশ সদস্য হত্যার পর প্রায় চার বছর হতে চললেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রংপুর বিভাগের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেছেন, ২০১৩ সালের ঘটনা এখনো এই পর্যন্ত? তাহলে আর দ্রুত বিচারের কী হচ্ছে?
বিচার শেষ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে তো আমার একজন এমপিকে হত্যা করল। এরপরে আর কত ঘটনা ঘটবে কে জানে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণার পর বামনডাঙ্গাসহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তান্ডব চালায় জামায়াতকর্মীরা। সেদিন তারা বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে চার কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করে। সেই মামলা এখনো দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন।
গাইবান্ধার নবম শ্রেণির ছাত্রী ঐশ্বর্য সিংহের সঙ্গে কথা বলার পর সংসদ সদস্য লিটন হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে জেলার পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, পুলিশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে।
জবাবে গাইবান্ধার এসপি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। গাইবান্ধা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। আমরা ইতোমধ্যে এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তদন্ত করার জন্য ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছি। পুলিশসহ বিশেষায়িত সংস্থার কর্মকর্তাসহ সকলেই ঘটনাস্থলে গেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান আশরাফুল ইসলাম।
লিটন হত্যা মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে আমরা দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছি। যে করেই হোক, যেই হোক না কেন- সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন করব। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েনের কথাও বলেন পুলিশ সুপার।
এ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এখানে একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে চাই। ২০১৩ সালে এই সুন্দরগঞ্জসহ গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায়, সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ি, তারপর গোবিন্দগঞ্জ, শাদুল্লাহপুর, ফুলছড়ি বিভিন্ন জায়গায় যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল এবং পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করেছিল জামাত-বিএনপি। সে সময় চারজন পুলিশকে হত্যা করে। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ১৫ সালে আরও দু’জন পুলিশকে হত্যা করে। সেই খুনীরা এ পর্যন্ত ধরা পড়েছে কিনা?
গাইবান্ধার এসপি জবাবে বলেন, ২৩৫ জন আক্রমণ করে। ১৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনে সোপর্দ করেছি। বাকিরা পরবর্তীতে আমাদের আইনের আওতায় আসে। প্রত্যেককে আমরা আইনে সোপর্দ করেছি। এই মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালে চার্জশিট দেয়া হয়েছে এবং এটা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অপেক্ষায় আছে। আগামীকালই একটা ডেট আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগেরই দেড়শ’র বেশি নেতা-কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে, তাদের দোকানপাট ব্যবসা-বাণিজ্য সব লুটপাট হয়েছে, যেভাবে তান্ডব চলেছে ১৩ তে ১৪ তে ১৫ তে, এই আসামিগুলো যদি দ্রুত ধরা না পড়ে, আজকে তো একজন আমার এমপিকে হত্যা করল।
এসব ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত বিচার, ১৩ সাল থেকে আজকে ১৭, তাহলে দ্রুত বিচারের কী হল? এটাও আমাদের দেখতে হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় শিক্ষক, অভিভাবক, মসজিদের ইমামসহ সকল শ্রেণী পেশার জনগণকে জঙ্গিবাদ উচ্ছেদে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের সর্বস্তরের জনগণ সকলের কাছে আমার একটাই আহ্বান থাকবেÑ বাংলার মাটিতে এই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান যেন না হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানই অন্যতম লক্ষ্য। আর জাঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। কারণ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস কখনও মানুষের জীবনে শান্তি বয়ে আনে না। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ৬২৯৯টি স্থান থেকে প্রায় ৩১ লাখ মানুষ এই ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।
ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্স অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর)-এর ‘ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্স অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের দশতলা ভবন এবং ১০০০ আসনের ‘শেখ হাসিনা’ ছাত্রী হলের (দশ তলা) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে আমাদের শিক্ষার্থী সমাজকে মুক্ত রাখার জন্য সচেষ্ট হবার জন্য শিক্ষক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। শিক্ষক সমাজকে আমি একটা কথা বলবÑ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে আমাদের শিক্ষার্থী ও সমাজকে মুক্ত রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনমতেই যেন এখানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দানা বাঁধতে না পারে। কারণ রংপুর বিভাগে আমরা দেখেছি ২০১৩ সালে যে তা-ব হয়েছেÑ মানুষ হত্যা করা, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা, গাছপালা কেটে ফেলা। ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট তারাই আবার জঙ্গির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। বাসে, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। পুলিশ হত্যা করেছে। আর সেইসাথে সাথে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে প্রকল্প দুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নাই। আর কে ভাল কে মন্দ- সে বিচার করবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। এটা বিচারের দায়িত্ব মানুষকে আল্লাহপাক দেন নাই। কাজেই মানুষকে খুন করে কোন ভাল কাজ হতে পারে বা মানুষকে খুন করে কেউ বেহেস্তে যেতে পারেÑ সেটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ এভাবে কেউ যে বেহেস্তে গেছে তা কেউ জানতে পারেনি। কাজেই এ ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আমাদের মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিপথে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এমনটি কর্মচারী সকলকে আহ্বান জানাবো- সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, যেন আমরা বাংলাদেশটাকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন- শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুরের প্রো-ভিসি অধ্যাপক একেএম নুরুন্নবী। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, রংপুর বিভাগের সংসদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলটি যখন ‘একনেক’-এ আসে এটি ছিল ৬শ’ আসনবিশিষ্ট। যেটি আমি এক হাজার আসন বিশিষ্ট করে দেই। কারণ আমরা আশা করি, আমাদের ছাত্রীসংখ্যা আরো বাড়বে। সেই সাথে সাথে আমরা বিজ্ঞানের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেই, আর গবেষণাটা একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষার মানোন্নয়নে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। যে কারণে আমরা এই গবেষণা ইনস্টিটিউট (ড. ওয়াজেদ) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। এই ইন্টান্যাশনাল ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্স ইনস্টিটিউট আমাদের শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে, আমি আশা করি।
তিনি বলেন, রংপুর সবসময় একটি অবহেলিত জেলা ছিল। আমরা দেখেছি এখানে মঙ্গা চিরাচরিত বিষয় ছিল সব সময়। আমি বিভিন্ন সময়ে রংপুর গিয়েছি সেখানে সবসময় দুর্ভিক্ষ লেগে থাকতো। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সেখানে ত্রাণ নিয়ে যেতাম, লঙ্গরখানা খুলতাম, সেসময় সেখানকার সব জায়গায় আমি ঘুরেছি। আমাদের যেটা লক্ষ্য ছিল, যখনই আমরা ক্ষমতায় এসেছি আমরা চেষ্টা করেছি ঐ অঞ্চলের জনগণ কিভাবে একটু ভাল থাকতে পারে। সেই চিন্তা থেকেই আমরা রংপুর বিভাগ ঘোষণা করি। কারণ একটি বিভাগ ঘোষণা করলে বিভাগীয় অবকাঠামো গড়ে উঠলে এলাকার অনেক উন্নতি হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার নামে একটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম পায়রাবন্দে। সে এলাকায় বিশ্বদ্যিালয় করাটা একটু কঠিন। শিক্ষক পাওয়া, যোগাযোগ- সবকিছু মিলেই একটু কঠিন। আর যেহেতু নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করলাম তাই সেটা পরিবর্তন করে রংপুরেই আমরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দেই। আর পায়রাবন্দে নানারকম প্রশিক্ষণের জন্য আমি একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করে দেই। যেখানে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে, বিশেষ করে মেয়েদের বিভিন্ন ট্রেডে ট্রেনিং দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য আছে প্রতি জেলায় অন্তত একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় হবে, সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে। কারণ বেসরকারি উদ্যোক্তারা যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার জন্য আমাদের কাছে আসেন আমরা তাদেরকে এক একটি জেলা ধরিয়ে দিয়ে বলিÑ এখানে বিশ্ববিদ্যালয় করেন। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা ঘরের খেয়ে যেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবার সুযোগ পান।
প্রধানমন্ত্রী তার নামে ছাত্রী হলের নামকরণ প্রসঙ্গে বলেন, আসলে আমার নামে আমি কোন কিছু করতে চাই না কারণ আমার কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। আমি চাই- বাংলাদেশের মানুষ ভাল থাকুক। আমার প্রতিদিনের কাজ একটাই এদেশের মানুষের জীবন মান উন্নয়নের চেষ্টা করা। এদেশের মানুষ যেন একটু সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে একটি সুন্দর জীবন পেতে পারে- সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার কর্মময় জীবন ও স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য এই ইন্টারন্যাশনাল রিসার্স ইনস্টিটিউট যে গড়ে তুলেছেন, সেটা একটি মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে- সেটাই আমি আশা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।