পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দুর্বিষহ যানজটে গতকাল বুধবার স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানী। ঢাকার এমন কোন সড়ক অবশিষ্ট ছিলোনা যেখানের যাত্রীরা ভয়াবহ যানজটে নাকাল হননি। বিশেষ করে শাহবাগ, সেগুনবাগিচা, মৎস্য ভবন, ফার্মগেট, বিজয় সরণিসহ আশপাশের এলাকার সড়কের যানবাহনের চাকা একই স্থানে থেমে ছিলো দীর্ঘসময়। মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে কোথাও কোথাও। এ অবস্থায় দিশেহারা অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটে পৌঁছেছেন নির্ধারিত গন্তব্যে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালি ও গুলশান-১ নম্বরে ডিসিসি মার্কেটে অগ্নিকা-ে রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে গতকাল সকাল থেকেই যানজটের কবলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে।
গতকাল ছিলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি। এরই অংশ হিসেবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ শেষে র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি শাহবাগ, মৎস্য ভবন, হাইকোর্ট সংলগ্ন সার্ক ফোয়ারা, প্রেসক্লাব, পল্টন হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেষ হয়। দুপুরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকার প্রায় সব জায়গায়ই যানজট। বিভিন্ন কলেজ থেকে র্যালি বের হওয়ায় এমন অবস্থা হতে পারে। অনুষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় শাহবাগ এলাকায় ছিলো করুণ অবস্থা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে গাড়িত আটকে থাকতে দেখা গেছে যাত্রীদের। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকায় অনেক যাত্রীকে গাড়িতেই ঘুমিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ঘণ্টা খানের পথ যেতে কারও কারও দুই থেকে আড়াই ঘণ্টাও সময় লেগেছে। একই স্থানে গাড়ি আটকে থাকায় অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন। যানজটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন নারী ও শিশুরা। ট্রাফিক পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, র্যালির কারণে বেলা গড়ানোর সাথে সাথে যানজটে ফার্মগেট এলাকা পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ে। ফলে ঢাকার ভেতরে গাড়ি ঢুকতে পারছে না।
এছাড়া গত মঙ্গলবার গুলশান-১ নম্বরে ডিসিসি মার্কেটে আগুনের কারণে সেখানে গতকালও রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়। ফলে সকাল থেকে মহাখালী-গুলশান, গুলশান-২ থেকে গুলশান-১ ও হাতিরঝিল এবং বাড্ডা লিংক রোড থেকে গুলশান-১, রামপুরা, শাহবাগ, মৎস্যভবন, জাতীয় প্রেসক্লাব, গুলিস্তান, ফার্মগেট, বাংলামোটর, কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টনসহ বিভিন্ন সড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী।
মৎস্য ভবন সিগনালে যানজটের শিকার এক ব্যবসায়ী বলেন, এমনিতেই কোন কারণ ছাড়াই অধিকাংশ সড়কে যানজট লেগে থাকে। তার উপর রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কর্মসূচি থাকলে কি অবস্থা হতে পারে পারে। যে কোন সংগঠনেরই র্যালি কিংবা রাস্তায় সভা সমাবেশের কর্মসূচি থেকে বের হয়ে আসা উচিত। যুগ এখন বদলে গেছে। এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমেই অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।