Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা হলে গণতন্ত্রের উন্নয়ন হয় : আইনমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা হলে গণতন্ত্রের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গÑ নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইনসভার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকতে হবে। এটি থাকলেই আমরা গণতন্ত্রে যে ভারসাম্যের কথা বলি তা প্রতিষ্ঠত হয় এবং গণতন্ত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হলেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা হয়; বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা হলে গণতন্ত্রের উন্নয়ন হয় এবং দেশ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ায়।
গতকল বুধবার রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের আয়োজনে নারী, শিশু আদালত ও বিশেষ জজদের কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরনো হাইকোর্ট ভবন থেকে সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন যতবার চিঠি দেবে ততবারই তা না সরানোর জন্য পুনর্বিবেচনা করতে পাল্টা চিঠি দেবেন। ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশন টিম গঠন করেছি। পর্যায়ক্রমে তাদের অভিজ্ঞতা  বেড়েছে। আজকে এটা সারাবিশ্বে স্বীকৃত। এই ট্রাইব্যুনাল সুষ্ঠু বিচার উপহার দিচ্ছে। চিঠি চালাচালির শেষ অবস্থান কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর শেষ অবস্থানটা বলতে পারব না যে, এখান থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেয়ার আদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে সরকারের আইন করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধানে এটা স্পষ্টভাবেই  লেখা আছে, এটা প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার। প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন। যদি আইন প্রণয়ন করতে হয় তাহলে প্রেসিডেন্ট বলবেন। প্রেসিডেন্টের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি আলাপ-আলোচনা করছেন। সে ক্ষেত্রে সরকার থেকে এমন কোনো কথা আমি বলতে চাই না। যেক্ষেত্রে এ আলাপ-আলোচনার সাফল্যের বিঘিœত হয়। এ সরকার বদ্ধপরিকর একটা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে। তিনি বলেন,  লেজিসলেটিভ বিভাগ আছে। প্রেসিডেন্ট কিছু করার জন্য যখন নির্দেশ দেবেন, আমরা নিশ্চয়ই সে কাজটা ত্বরিত করার ক্ষমতা রাখি।
তিনি বলেন, প্রতীক নির্বাচনের এখতিয়ার হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন যদি কোনো দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে বাদ দিতে চায় বা  কোনো প্রতীককে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়, আইনত সেটা তারা পারে। আইনত যেহেতু তারা সেটা পারে, তাই আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত সঠিক আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ