Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিলের রিপোর্ট চূড়ান্ত পল্লী অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করবে -বার্ড

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন তথা পল্লীর দারিদ্র্য বিমোচনে প্রতিষ্ঠান গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বিল ২০১৬’ এর রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৫তম বৈঠকে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংযোজনসহ এটি সংসদে উপস্থাপনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়।  
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশগুলো বাতিল হয়ে গেলে ওই আইনটিও রহিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে রহিত অধ্যাদেশ বলে গঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর আইনি শূন্যতা সমাধানকল্পে ২০১৩ সালে বাতিল আইনগুলোর কার্যকারিতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে অধ্যাদেশ কার্যকারণ বিশেষ বিধান জারি করেন প্রেসিডেন্ট। গত ২৯ সেপ্টেম্বর আগের অধ্যাদেশ রহিতক্রমে আইনটি পুনপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ বিল উত্থাপিত হয়। বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট অর্ডিন্যান্স ১৯৮৬ রহিতক্রমে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি আইন ২০১৬ বিলটি উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কৃষির আধুনিকীকরণসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অনেক মডেল সৃষ্টি করেছে। দেশ-বিদেশে অধিকতর সমাদৃত হয়েছে। জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর আইনি কাঠামো আরো শক্তিশালীকরণ প্রয়োজন। এ জন্য আইনের খসড়া বিলটি গত বছর এপ্রিল মাসের মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আওতাধীন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীনস্থ একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন তথা পল্লীর দারিদ্র্য বিমোচনে নিরলস সহায়তা করে যাচ্ছে। তৎকালীন সরকার ‘পাকিস্তান গ্রাম উন্নয়ন একাডেমি’ নামে এটি প্রতিষ্ঠিত করলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান নামে নামান্তরিত হয়।
কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে  উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রতিমন্ত্রী মো: মসিউর রহমান রাঙ্গা, আলহাজ অ্যাডভোকেট মো: রহমত আলী, ফজলে হোসেন বাদশা এবং এ কে এম সেলিম ওসমান এবং বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন মো: আব্দুস শহীদ এমপি। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব  প্রশান্ত কুমার রায় প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ