পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শ্রমিক নেতাদের আটকে উদ্বেগ অ্যালায়েন্সের
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আশুলিয়ার শ্রমিক পরিস্থিতিতে শ্রম অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। গতকাল মঙ্গলবার কমিশনের কারওয়ানবাজার কার্যালয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের ১২ সদস্যের দল চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সঙ্গে দেখা করেন। আশুলিয়ার শ্রমিক ইস্যুতে তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আশুলিয়ার আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিক নির্যাতনেরও অভিযোগ করছেন শ্রমিক নেতারা। আমরা এসব বিষয় খতিয়ে দেখবো। কিভাবে শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়ে কাজ করবো। তাজরীনের অগ্নিকা-ে আমরা দেখেছি, শ্রমিকদের জীবনের চেয়ে কাপড়ের নিরাপত্তাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিলেন মালিকপক্ষ। এ দেশের শক্ত অবস্থানের ক্ষেত্রে পোশাক শ্রমিকদের অবদান উল্লেখযোগ্য।
শ্রমিক ছাঁটাই ও নির্যাতন বন্ধ, শ্রমিকদের কথা বলার অধিকার প্রদান, মামলা প্রত্যাহারসহ ৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, শ্রমিকদের ওপর নানা নির্যাতন চলছে। কাজে যোগ দেওয়া শ্রমিকরাও মামলা ও ছাঁটাই আতঙ্কে রয়েছেন। স্থানীয় মাস্তানদের দিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে, যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় স্মারকলিপিতে।
এদিকে আশুলিয়ায় সাম্প্রতিক শ্রম অসস্তোষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন শ্রমিকনেতাকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদে উদ্বেগ জানিয়েছে অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি। উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের এই জোট এক বিবৃতিতে তাদের উদ্বেগের কথা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইন অনুসারে শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার যে অধিকার আছে, সেটি অ্যালায়েন্স জোরালোভাবে সমর্থন করে। জোটের চুক্তি অনুযায়ী, পোশাকশ্রমিকেরা যেকোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন। সে জন্য জোটের সদস্য কারখানার শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার অধিকারকে সমর্থন জানায় ও উৎসাহিত করে অ্যালায়েন্স।
২০১৮ সালের জুলাইয়ের মধ্যে অ্যালায়েন্স ৬০০-র বেশি পোশাক কারখানায় শ্রমিক সুরক্ষা কমিটি গঠন করবে। ইতিমধ্যে ১২ লাখ শ্রমিককে অগ্নিনিরাপত্তা-বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছে অ্যালায়েন্স। এসব তথ্য উল্লেখ করে জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যখন অগ্রগতি হচ্ছে, তখন বাংলাদেশের শ্রম অধিকারকে সমর্থন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। শ্রমিকনেতাদের যেকোনো অন্যায্য আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ বরদাশত করা উচিত নয়। প্রশাসন ও শ্রমিকদের মধ্যকার দূরত্ব আইন অনুযায়ী শাস্তিপূর্ণভাবে নিরসনের আহ্বান জানায় জোটটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।