Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন দিন থানায় থেকেও নিখোঁজ হোমিও ডাক্তার জনি

| প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম


সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে স্ত্রী ও বাবার সংবাদ সম্মেলন
আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাতক্ষীরা থেকে : গত আগস্ট মাসে আমার ছেলেকে পুলিশ সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরপর তিন দিন তার সাথে সদর থানায় দেখাও করেছিলাম। এরপর থেকে পুলিশ বলছে, আপনার ছেলে কোথায় তা আমাদের জানা নেই।
নিখোঁজ ছেলে জনির সন্ধান করতে এসে সাতক্ষীরা শহরের কুখরালি গ্রামের রাশেদ শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো অন্যায়-অপরাধ করে থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হোক। কিন্তু আমার ছেলের সন্ধান চাই’। বাবা রাশেদ ও তার পুত্রবধূ জেসমিন নাহার মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলন করতে। সেখানেই এই আকুতি তুলে ধরেন তারা।  
জেসমিন নাহার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৫ আগস্ট ২০১৬ রাত সাড়ে ৯টায় তার স্বামী ডা: শেখ মোকলেছুর রহমান জনি শহরের নিউ মার্কেটে এসেছিলেন ওষুধ কিনতে। এ সময় তাকে সাতক্ষীরা থানার এসআই হিমেল গ্রেফতার করেন। আমরা বিষয়টি জানতে থানায় যাই। এসআই হিমেল বলেন, তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। নির্দোষ হলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। জেসমিন জানান, পরপর তিন দিন থানায় গিয়ে স্বামীর সাথে দেখা করেছি। তিন বেলা তার খাবারও পৌঁছে দিয়েছি। এরপর ৮ আগস্ট সকাল থেকে পুলিশ বলতে শুরু করে জনি কোথায় তা আমরা জানি না। তিনি বলেন, এসআই হিমেল আমার এবং আমার শ্বশুর-শাশুড়ির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি থানায় জমা দিতে বলেন, দিয়েছিও। স্বামীর কোনো খোঁজ না পেয়ে থানায় একটি জিডি করতে গিয়েছিলাম। পুলিশ তা নেয়নি। নিরুপায় হয়ে ২৪ আগস্ট পুলিশ সুপারের কাছে স্বামীর সন্ধান চেয়ে আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু কোনো সুখবর পাইনি।  
জেসমিন বলেন, আমার স্বামী পেশায় একজন হোমিও ডাক্তার। তিনি সপ্তাহের চার দিন জেলার কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থাকতেন। বাকি দিনগুলো কাটাতেন বাড়িতে। আমার বাবার বিরোধীয় জমিজমা দেখাশোনা করতেন তিনি। এতে প্রতিপক্ষ তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ষড়যন্ত্রে ফেলতে পারে। তিনি বলেন, জনি কোনো রাজনীতি করেন না। তার বিরুদ্ধে কখনো কোথাও কোনো মামলাও ছিল না। অথচ পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেল আর আমরা তার কোনো খোঁজ পাব না এ কেমন কথাÑ প্রশ্ন করেন জেসমিন।
তিনি বলেন, এতদিন সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েও পারিনি নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছিল আমাদের। এখন কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে প্রেসক্লাবে এসেছে বলে জানান জেসমিন। জনির খোঁজ জানতে যোগাযোগ করা হলে সাতক্ষীরা থানা থেকে বদলি হওয়া এসআই হিমেল বলেন, অনেক আগের বিষয়। এ সম্পর্কে এখন কিছু মনে নেই। একই কথা জানান, কলারোয়া থানায় বদলিকৃত সে সময়কার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ। তিনি বলেন, পাঁচ মাস আগের কথা, এখনই কিছু বলতে পারছি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ