পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শত বাধা পেরিয়েও এগিয়ে যাচ্ছে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। মুনাফা ও আর্থিক ভিত্তির দিক দিয়ে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে এবারও শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে প্রবাসী মালিকানাধীন এই ব্যাংকটি। ২০১৬ সালে ব্যাংকটি পরিচালন মুনাফা করেছে ১৭২ কোটি টাকা যা আগের বছরের প্রায় দ্বিগুণ।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ওয়েবসাইট ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৩ সালে ব্যাংকটি মুনাফা করেছিল ৯ কোটি টাকা। পরের বছর মুনাফা হয় ৩৩ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে ব্যাংকটি মুনাফা করে ৯২ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে ব্যাংকটি মুনাফা করে ১৭২ কোটি টাকা যা চতুর্থ প্রজন্মের ৯টি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
শুধু মুনাফা নয়, ব্যাংকটির আর্থিক ভিত্তিও দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। ২০১৩ সালে ব্যাংকটির ইপিএস (আর্নিং পার শেয়ার) ছিল দশমিক শূণ্য ৫ টাকা। ২০১৪ সালে ছিল দশমিক ১৯ টাকা। এখান থেকে বেড়ে ২০১৫ সালে ইপিএস দাড়ায় ১ দশমিক ২৬ টাকায়। আর গেল বছর শেয়ারপ্রতি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় টাকায়।
বাড়ছে ব্যাংকটির নেট অ্যাসেট ভ্যালুও (ন্যাভ)। ২০১৬ সালে ব্যাংকটির নেট অ্যাসেট ভ্যালু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ টাকায় যেটা ২০১৫ সালে ছিল ১০ টাকা ৬ পয়সা।
ক্রমবর্ধমান মুনাফা ও শক্তিশালী আর্থিক ভিত সম্পর্কে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান মুজিবুর রহমান বলেন, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের দৈনন্দিন কর্মকা-ে বর্তমান পরিচালনা পরিষদের কোন হস্তক্ষেপ না থাকায় বিপুল অংকের মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ব্যাংকটি। ব্যাংক পরিচালনায় বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিটি নির্দেশনা ঠিকভাবে পরিপালন করার কারণেই ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তিও দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন এই সিনিয়র ব্যাংকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকে থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৩ সালে ব্যাংকটির আমানত ছিল ৪৯১ কোটি টাকা। পরের বছর এটা প্রায় চারগুণ বেড়ে হয় ১ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকায়। গতবছর ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৪শ কোটি টাকা।
আমানতের সঙ্গে বেড়েছে ব্যাংকটির ঋণ বিতরণের পরিমাণ। গতবছর ব্যাংকটি ৩ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। এর আগের বছর ঋণ বিতরণ করেছিল ২ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা। ২০১৪ ও ২০১৩ সালে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৪৪১ কোটি ও ৩২৭ কোটি টাকা।
২০১৬ সালে ব্যাংকটি মূলধন বাড়িয়েছে ৮৫ কোটি টাকা। ৩১ ডিসেম্বরে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের মূলধন ছিল ৬শ’ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরুর বছরে মূলধন ছিল ৪৪০ কোটি টাকা।
দুই বছর পর মুনাফায় বেসিক ব্যাংক
এদিকে টানা দুই বছর লোকসানের পর মুনাফায় ফিরছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক। ২০১৬ সালে ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ২০১৫ সালে ব্যাংকটির পরিচালন লোকসান হয়েছিল ২৫৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ৯৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
জানতে চাইলে বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খন্দকার মো. ইকবাল বলেন, টানা দুই বছর লোকসানের পর এবার আমরা লাভের মুখ দেখেছি। আগামীতে আরও বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
২০০৯ সালে চেয়ারম্যান হিসেবে আবদুল হাই বাচ্চুর যোগদানের পর থেকে বেসিক ব্যাংকের বিপর্যয় শুরু। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ৬ জুলাই পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওই সময়েই ঘটে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা। সে সময় বেসিক ব্যাংকের এমডির দায়িত্বে ছিলেন কাজী ফখরুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।