Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রহত্যা দিবস : মির্জা ফকরুল

| প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হালিম আনছারী, রংপুর থেকে : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্রহত্যা দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল একটি তামাশার নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে ঐদিন দেশে একটি তামাশার নির্বাচন করা হয়েছিল। সেই তামাশাতে বিএনপি যোগ দেয়নি। দেশের মানুষের শতকরা ৫ ভাগও যোগ দেয়নি। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই দিনই গণতন্ত্রকে ধংস করা হয়েছে। গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ সুষ্ঠু নির্বাচন, সেই নির্বাচন সে সময় হয়নি। ফলে ওই নির্বাচনের কারণে যে সরকার বসে আছে, আমরা মনে করি সেটা গণতান্ত্রিক সরকার নয়। সেজন্য আমরা ৫ জানুয়ারিকে মনে করি এটা গণতন্ত্র হত্যা দিবস।
তিনি গতকাল শুক্রবার দুপুরে রংপুরে সংক্ষিপ্ত সফরে এসে রংপুর পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে আইনের কথা আমরা এজন্য বলিনি যে, এখন যারা আইন তৈরি করবেন তারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়। সুতরাং তাদের দ্বারা তৈরি আইন সঠিক হবে না। এছাড়া যেহেতু এই আইন আগে হয়নি এখন তা তৈরির সুযোগ নেই। সেকারণে আমরা আমাদের প্রস্তাবনায় নির্বাচন কমিশন আইন গঠনের কথা বলিনি।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন একতরফা হচ্ছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সুপরিকল্পিকতভাবে এদেশে যাতে বিরোধী দল রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে কেয়ারটেকার মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের যে ব্যবস্থা ছিল পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যে সে ব্যবস্থাকে বাতিল করা হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে আপনারা দেখছেন যতগুলো নির্বাচন হয়েছে বা হচ্ছে সব একদলীয় ও একতরফা নির্বাচন হচ্ছে।
বিএনপি সকল জুলুম-নির্যাতনসহ সব বাধা পেরিয়ে শক্তিশালি দল হিসেবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখন গণতন্ত্রহীন অবস্থায় বাস করছি। দেশে গণতন্ত্র নেই। আমার অধিকার নেই। আমার সভা করার অধিকার নেই। আমার মিছিল করার অধিকার নেই। আমার সত্যি কথা বলার সুযোগ নেই। ফলে এ রকম একটা পরিবেশে আমরা যে এখন পর্যন্ত শক্তভাবে রাজনীতি করছি। রাজনৈতিক কথা বার্তা বলছি। এতেই প্রমাণিত হয়- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি শক্তিশালী ও সচল রাজনৈদিক দল।
সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে মীর্জা ফখরুল বলেন, স্থানীয় নির্বাচন যেহেতু সরকার পরিবর্তনের কোনো নির্বাচন নয় তাই আমরা তাতে অংশ নিয়েছি। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিইনি অন্য কারণে। এই নির্বাচন সংবিধানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক, সংবিধানবিরোধী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাবেক এমপি মহিলা দল নেত্রী শাহিদার রহমান জোসনা, সাবেক এমপি পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আফতার উদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, যুবদল সভাপতি রইচ আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজু, কৃষক দল নেতা হাজি আবু তাহের, কাজী খয়রাত, জাসাস নেত্রী অ্যাডভোকেট রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা সভাপতি জহির আলম নয়ন, সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান হিজবুল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আব্দুস সালামসহ মহানগর ও জেলা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ