পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিবচর (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : ঘনকুয়াশার কারণে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ৮ ঘণ্টা ফেরিসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় মাঝ পদ্মায় ৭টি ফেরি নোঙ্গর করে রাখা হয়। এছাড়া নৌরুটের সকল ফেরি উভয় ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়। মাঝ নদীতে আটকে পড়ে তীব্র শীতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহান। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে দূর-পাল্লার নৈশকোচসহ ৬ শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে।
বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাত থেকেই কাওরাকান্দি-শিমুলীয়া নৌরুটে কুয়াশার প্রকোপ রাড়তে শুরু করে। রাত ১১টার দিক কূয়ার প্রকোপ তীব্র আকার ধারন করে। এসময় সিগন্যাল বাতি, মার্কিং পয়েন্ট, বিকন বাতি অস্পষ্ট হয়ে উঠলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এসময় মাঝ পদ্মায় ৭টি ফেরি নোঙ্গর করে রাখতে বাধ্য হয় ফেরি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নৌরুটের সকল ফেরি উভয় ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়। মাঝ পদ্মা ও ঘাট এলাকায় আটকে পড়ে এসময় প্রচ- শীতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। কুয়াশার প্রকোপ কমলে শুক্রবার সকাল ৭টার দিক ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় দূর-পাল্লার নৈশকোচসহ ৬ শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় ঘাটে ৪ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।
বিআইডব্লিউটিসি কাওরাকান্দি ঘাট সহকারী রুহুল আমিন মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় বেশ কিছু যানবাহন আটকে পড়ে। ফেরি চলাচল শুরু হওয়ার পরে আমরা যাত্রীবাহী পরিবহন ও কাঁচামালবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছি।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৪ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
আরিচা সংবাদদাতা জানান, ঘনকুয়াশার কারণে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটের ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার সকাল পোনে ১০টার দিকে পাটুরিয়া থেকে নোঙ্গর করে থাকা ফেরিগুলো দৌলতদিয়ার পথে রওয়ানা দেয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)র পাটুরিয়া ঘাটের ম্যানেজার জিল্লুর রহমান ফেরি চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নদী অববাহিকায় হালকা কুয়াশা পড়তে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। এতে নৌপথের দিক ফেরি চালকদের দৃষ্টির বাইরে চলে গেলে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পরে দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ দু’দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। প্রথমে ঘনকুয়াশার কারণে শুক্রবার সকাল ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। এক ঘণ্টা চলার পর আবার ৭টা থেকে ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় ৩টি ফেরি মাঝ নদীতে কুয়াশায় অবরুদ্ধ হয়ে পদ্মায় আটকে পরে। এছাড়া পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ৯টি ফেরি এবং ৪টি ফেরি দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই করে নোঙ্গর করে থাকতে বাধ্য হয়।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকার কারণে পদ্মার দু’পারে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে যাত্রীবাহীবাস, মাইক্রোবাস ও পণ্য বোঝাই ট্রাকসহ ৬ শতাধিক যানবাহন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।