Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বেতারে ভাষণ দেন ইয়াহিয়া

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২৩, ১২:০১ এএম

৬ মার্চ ১৯৭১। দুপুর একটা পাঁচ মিনিটে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে ঢাকায় ২৫ মার্চ পুনরায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। তিনি এতদিনের আন্দোলনকে গুটিকয়েক ব্যক্তির কাজ বলে উল্লেখ করেন। তার বক্তব্য জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ঢাকার রাজপথ এদিন স্বাধীনতাকামী জনতার দৃপ্ত পদচারণায় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। উত্তেজিত জনতা চিৎকার করে বলতে থাকে ‘রক্ত চাও নেবে তবু স্বাধিকার দিতেই হবে’।

ভোর ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত হরতাল ছিল। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি হলো। সশস্ত্র-বাহিনীর ট্রাক আর অ্যাম্বুলেন্স ঘন ঘন যাতায়াত করছিল। কিন্তু বন্ধ ছিলোনা মুক্তিকামী বাঙালির মিছিল-মিটিং। সেøাগান উঠেছিলো ‘জয় সর্বহারার জয়, জয় বিদ্রোহী বাংলার জয়, জয় নিপীড়িত মানুষের জয়’। একটি সেøাগান সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হতে থাকলো ‘ভুট্টোর মুখে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’ পহেলা মার্চের পর থেকে গুলিবিদ্ধ লাশের সংখ্যা বাড়তে থাকে। রংপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর আর ঢাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মূলতবী ঘোষণা করার পর থেকেই শহর বন্দর আর গ্রামে গ্রামে বিক্ষোভ-জনসভা।

শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর, মিছিল, মিটিং, কারফিউ ভঙ্গ, প্রতিবাদ আর বিক্ষোভের পর ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কি ঘোষণা দেন; তাই জানার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে রইল মুক্তিকামী বাঙালি।###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ