পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার ধামরাইয়ে ৭ দিনের নবজাতককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত শুক্রবার রাতে যশোরের অভয়নগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪ এর একটি দল। এ সময় অপহৃত নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. রুবেল শেখ (৩৫) ও তার স্ত্রী তানিয়া আফরোজ (২৩)।
গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, পাওনাদারদের ধার পরিশোধের চাপে পড়ে পরিচিত পরিবার থেকে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেই নবজাতককে অপহরণ করেন এ দম্পতি। গতকাল কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাতে কমান্ডার মঈন বলেন, ভুক্তভোগী মিলি আক্তার কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। ঢুলিভিটা বাজারের পাশে থাকার কারণে একই এলাকার ভাড়াটিয়া রুবেল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রেপ্তার রুবেল মিলি আক্তারকে ফুফু বলে ডাকতেন।
তিনি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রুবেল ও তার স্ত্রী ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় আসেন। ভুক্তভোগী অসুস্থ থাকায় ৭ দিনের নবজাতককে রুবেল ও তার স্ত্রীর কাছে রেখে ওষুধ কিনতে বাইরে যান। ২০ মিনিট পর বাসায় ফিরে মিলি আক্তার রুবেল ও তার স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেন।
তিনি বলেন, পরে ঢুলিভিটা বাজার কমিটির সহায়তায় রুবেলের বাসার ঠিকানা নিয়ে বাসায় গেলে বাসা তালা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া রুবেলের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে রুবেল মোবাইল ফোন চালু করলে প্রথমে নবজাতককে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে পুনরায় ফোন বন্ধ করে দেন। ১ মার্চ রুবেল অন্য একটি নম্বর দিয়ে ভুক্তভোগী মিলি আক্তারকে ফোন করে জানায় নবজাতক ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ লাগবে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে নবজাতককে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় রুবেল। ভুক্তভোগী মিলি আক্তার তার নবজাতক শিশুকে ফিরে পেতে র্যাব-৪ এর সহায়তা চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। পরে গত শুক্রবার রাতে র্যাব-৪ এর একটি দল যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন আমতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী দম্পতি মো. রুবেল শেখ (৩৫) ও তানিয়া আফরোজকে (২৩) গ্রেপ্তার করে। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত ৭ দিনের নবজাতককে।
নবজাতক শিশু অপহরণের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দম্পতি জানায়, ২-৩ মাস যাবত ঢুলিভিটা বাজার এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন তারা। বিভিন্ন দোকান ও মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ করতে পারছিল না রুবেল। পাওনাদাররা ধার পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকায় সে ঢুলিভিটা এলাকা থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকায় কৌশলে নবজাতককে অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তারা ভুক্তভোগীর বাসায় যায়। ভুক্তভোগী ওষুধ আনতে বাইরে গেলে তারা সুযোগ বুঝে নবজাতক শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।