পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘেটেছে। গতকাল শনিবার ঢামেকের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২০৫ নম্বর শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় সেখানে ভর্তি থাকা ৫২ জন শিশুরোগী স্বজনদের সহযোগিতায় ওয়ার্ড থেকে বের হতে সক্ষম হয়। তবে ওয়ার্ডের বাইরের দিকে জানালার নিচে জমে থাকা ময়লার স্তূপে আংশিক আগুনের কারণে ধোয়ার কুণ্ডলী পাকানোর আগেই হাসপাতালের লোকজন অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র দিয়ে তা নিভিয়ে ফেলেন।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল পৌনে চারটার দিকে পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় শিশু সার্জারি ২০৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় ডাক্তারদের রুম সংলগ্ন জানালার নিচে ময়লার স্তূপ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। এতে ওই ওয়ার্ডের রোগীদের স্বজনদের মাঝে আগুন আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে। তখন সেখানে ভর্তি থাকা ৮ মাস বয়স থেকে ৯ বছরের শিশুরা স্বজনদের সহযোগিতায় ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যায়।
ওই ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স তানজিলা জানান, যখন জানালার নিচে ময়লার স্তূপ থেকে আগুনের ধোঁয়া ওয়ার্ডে ঢোকার আগেই সেখানে ভর্তি ৫২ শিশুকে স্বজনদের মাধ্যমে বের করে আনা হয়। এসময় সেখানে থাকা রোগীদের স্বজনরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাদের সান্ত্বনা দিয়ে আস্তে আস্তে বের করে নিয়ে আসা হয়। এই ওয়ার্ডে ৮ মাসের শিশু থেকে থেকে ৯ বছর শিশুরা ভর্তি ছিল। তবে বেশিরভাগই একদম শিশু।
এদিকে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র নিয়ে সবাই মিলে কোনো ক্ষক্ষতি ছাড়াই তাৎক্ষণিক আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
ওই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা সাড়ে ৪ মাসের মাইশার মা শারমিন ও চার বছরের রোগী জুনায়েদের মা খাদিজা জানান, ওয়ার্ডের বারান্দায় যখন ধোঁয়া বের হতে দেখি, তখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সবাই নিজের রোগীকে নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে যাই। ভয়ে অনেকে কান্নাকাটিও করছিলেন। তবে তাৎক্ষণিক ওয়ার্ডে থাকা নার্স ও অন্যান্যরা সবাই আমাদের সান্তনা দিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন। পরে আতঙ্ক কেটে গেলে সবাই আবার ওয়ার্ডে ফিরে আসি।
এদিকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া হাসপাতালে রোগী ও ভিজিটররা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলেন। হাসপাতালের লোকজন সেগুলো পরিষ্কারও করে প্রতিদিন। যেহেতু হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি আছে, তাই স্বজন আছে আরও কয়েকগুণ। তারা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলেন। আজকেও জানালার নিচে জমে থাকা ময়লার স্তূপে একটু ধোয়া উড়তে দেখা দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র দিয়ে আমাদের কর্মীরা সেটা নিভিয়ে ফেলেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।