বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এন্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) সামাজিক উদ্যোক্তা অন্বেষণের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘হাল্ট প্রাইজ’-এর অন ক্যাম্পাস পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স হল এ সকাল ১১:৩০ টায় শুরু হয়ে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত চলে হাল্ট প্রাইজের এই পর্ব।
৩৮ টি দলের মধ্য থেকে প্রাথমিক বাছাই পর্ব শেষে ও এর পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্ব শেষে ৩ টি দলকে ফাইনালের জন্য নির্বাচিত করা হয়। গ্রান্ড ফিন্যালে এই ৩ টি দলের সদস্যরা নিজেদের বিজনেস প্লান বিচারকসহ শ্রোতামণ্ডলীর সামনে উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিচারকদের বিচারে টিম বিলিভার্স চ্যাম্পিয়ন, ১ম রানার আপ পায়োনির্স এবং ২য় রানার আপ হয় বি ইউ বি টি টেক্সস্টার্স। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল কে দশ হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান করা হয় প্রাইজমানি হিসেবে।
অন ক্যাম্পাস রাউন্ডে বিজয়ী দলগুলো পরবর্তীতে রিজিওনাল সামিটে এবং সেখানে বিজয়ী দলটি গ্লোবাল সামিটে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। গ্লোবাল সামিটে চূড়ান্ত বিজয়ী দলটি তাদের বিজেনস আইডিয়া বাস্তবায়নের জন্য পাবে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সম্মানিত অতিথি ও বিচারকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি-এর প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী নূর। তিনি ফাইনালিস্টদের উপস্থাপনায় বিস্মিত হয়েছিলেন এবং প্রত্যেককে এই ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিইউবিটি-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফাইয়াজ খান। তিনি ফাইনালিস্টদের তাদের মূল্যবান ধারণার জন্য অভিনন্দন জানান এবং সকল অংশগ্রহণকারী, দর্শক এবং স্পনসরদের ধন্যবাদ জানান। তিনি সবাইকে কমপক্ষে দশজন কর্মচারী নিয়োগ করতে পারে এমন অর্থপূর্ণ কিছু করার চেষ্টা করার জন্য সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
আকর্ষণীয় বিষয় "রিডিজাইনিং ফ্যাশন" এর সাথে এই বছরের হাল্ট প্রাইজের লক্ষ্য হল পোশাক এবং ফ্যাশন শিল্পে একটি উদ্ভাবনী এবং লাভজনক সামাজিক উদ্যোগ চালু করার মাধ্যমে ফ্যাশনকে কীভাবে ইতিবাচক উপায়ে আরও টেকসই করা যায়।
হাল্ট পরিবার ২০০৯ সাল থেকে হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এটি বিশ্বের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতামূলক আসর। এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানমূলক উদ্ভাবনী আইডিয়া উপস্থাপন করেন। পুরস্কার বিজয়ী আইডিয়া বা স্টার্টআপ বাস্তবায়নের জন্য বিজয়ী দলকে দেওয়া হয় ১ মিলিয়ন ডলার।