পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা একটা সংকটে আছি, তাতে সন্দেহ নেই। কারণ ভোট নিয়ে আমরা এখনও রাজনৈতিক কোনো ঐক্য দেখতে পাচ্ছি না। এটা খুব প্রয়োজন। যদি ঐক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আমরা চাই না, নির্বাচনের পূর্বে বা নির্বাচনের সময়ে কোনো রাজনৈতিক সংকট তৈরি হোক। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন অডিটোরিয়ামে গতকাল ‘জাতীয় ভোটার দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিইসি।
কাজী হাবিুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা এখনও আস্থাভাজন হয়ে ওঠেনি। আজকেও পত্রিকায় দেখলাম জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় আস্থার জায়গা শূণ্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এটা সম্পূর্ণ সত্য নয়, তবে কিছুটা হলেও সত্য। ভোটারদের আস্থা বর্ধিত করতে হবে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। নির্বাচন আয়োজক হিসেবে ভোটার এডুকেশন আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সিইসি বলেন, আমরা একটা খাবার তৈরি করে নিজেরাই খেয়ে ফেলব না। আমি আমাদের সহকর্মীদের বলব, ভোটার দিবসে আমরা যদি আরও অনেক বিশিষ্টজন ও অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানাতে পারি বা তাদের সমবেত করতে পারি, তাহলে তারও একটা ইতিবাচক ফল হতে পারে। এ জিনিসটা (ভোটার দিবস) নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সম্প্রসারন করা প্রয়োজন।
এর আগে নির্বাচন ভবনের সামনে ভোটার দিবসের শোভাযাত্রা বের করা হয়। ‘ভোটার হবো নিয়ম মেনে, ভোট দেবো যোগ্যজনে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন পঞ্চমবারের মতো দেশব্যাপী ভোটার দিবস উদযাপন করে। শোভাযাত্রা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবে না নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে এর সমাধান করতে হবে। আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মত-পার্থক্য থাকে, সেটা আপনারা নিরসন করার চেষ্টা করুন। কারণ নির্বাচন কমিশন মুরুব্বিয়ানা করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা বিনীতভাবে সকল রাজনৈতিক দলকে বলবো-আপনারা যে কোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন, যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে এক ধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
সিইসি বলেন, উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। কারণ মেয়াদ আছে মাত্র ১০ মাস। আর সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদে কিন্তু উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল। ইভিএমে ভোটে বলা হয় ধীরগতি, সেখানেও উপস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল। আমরা আশা করি, আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে, সেখানে উপস্থিতি যথেষ্ট হবে, সেই আশাবাদ আমি ব্যক্ত করছি।
নির্বাচনে ইসির ভূমিকা তুলে ধরে সিইসি বলেন, কেন্দ্রে যাওয়ার দায়িত্ব প্রথমত ভোটারের নিজের। রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল একটা দায়িত্ব রয়েছে; তাদেরকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, আমরা ভোটটা আয়োজন করব। আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করব, বক্স সাপ্লাই করব। আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সংস্থাগুলো আছে, তাদেরকে আমরা স্ট্রিক্টলি বলে থাকি, আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত যে আইন-শৃঙ্খলা এবং অনুকূল পরিবেশ, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। তাই দায়িত্বটি কার? দায়িত্বটি সামগ্রিক সমন্বয়ের; এককভাবে এই দায়িত্ব কখনোই নির্বাচন কমিশনের নয়।
আগামী ভোট ১৪ আর ১৮ সালের মতো হবে না, আপনারা কেন এত আশাবাদী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, ওই সমন্ত প্রশ্নে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। ১৮, ১৪ সালে কী হয়েছে সেগুলো আমরা দেখবো না। আমরা সামনে দিকে এগুচ্ছি। আমাদের জন্য আপনাদের শুভ কামনা রাখবেন, যেন আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বটা আগামীতে সুন্দরভাবে পালন করতে পারি।
এসময় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সকালে নির্বাচন ভবন থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে নির্বাচন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিকালে আলোচনা সভারও আয়োজন করেছে ইসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।