পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আবারও বলেছেন, দ- স্থগিত থাকা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। নেদারল্যান্ডসের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য পিম ভ্যান স্ট্রিয়েনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গতকাল সচিবালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাজনীতির বিষয়টি বুঝতে হবে। আইনে যাই থাক, ইরানের খোমেনির রাজনীতি কী বন্ধ ছিল? বঙ্গবন্ধু জেলে থেকে রাজনীতি করেছেন না। কনভিকশন (দ-িত) হয়নি, কনভিকশন হলেই কী বঙ্গবন্ধু রাজনীতি বন্ধ করে দিতেন? আমি সেই জায়গা থেকে বলেছি। জেলে বসেওতো রাজনীতি করা যায়। বঙ্গবন্ধু করেছেন, তাই খালেদা জিয়ারও রাজনীতি করার বিষয়ে কোন বাধা নেই। আমি তো সেই কথাটিই আপনাদের বলেছিলাম। আবারও বলছি।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও একই কথা বলেন। তবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না।
কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সারা পৃথিবীতে তো বিদ্রোহী ও বিপ্লবীরা জেলে থেকে, এভাবেই রাজনীতি করেছেন। খালেদা জিয়া ইলেকশনে যেতে পারবেন না, আইনের কারণে। কিন্তু তার রাজনীতির চিন্তা-চেতনা এগুলো বন্ধ করা যায় না, যাবে না।
এ বিষয়ে আপনারা মন্ত্রিসভার সদস্যরা একমত হতে পারছেন না কেন- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে খানিকক্ষণ চুপ থেকে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ক্যাবিনেট কলিগরা বলছেন কীভাবে? আমি ওনাদের সাথে কথা বলিনি, কী বলেছেন। আমাকে যদি কোনো কারণে জেল দেয়, তাহলে কি হবে? ভারতের লালু প্রসাদ কী রাজনীতি বন্ধ করেছেন? জয়ললিতারও তো দুর্নীতির জন্য সাজা হয়। আমাদের ওবায়দুল কাদের সাহেবও তো বলেছেন, তিনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করতে পারবেন না, আইন অনুযায়ী। সংবিধানে আছে দু-বছরের বেশি সাজা হলে নির্বাচন করা যাবে না। কিন্তু রাজনীতিটা আপনি বন্ধ করবেন কেমনে?
সংসদে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, খালেদা জিয়া রাজনীতি না করার জন্য মুচলেকা দিয়েছেন- এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এটা আমি জানি না, কোথায় মুচলেকা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। একটা জানি যে, তারেক জিয়া দিয়েছেন। বিদেশে যাওয়ার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে তিনি দিয়ে গেছেন।
নির্বাচনের ১০ মাস আগে আওয়ামী লীগ এই ইস্যুটাকে সামনে আনলো কেন- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু না। আমরা মনে হয় এটা নিয়ে যেটুকু আলোচনা হয়েছে সেটা যথেষ্ট। আমি তো ভারতের দুটি উদাহরণ দিলামই।
খালেদা জিয়া তো এখন নির্বাহী আদেশে মুক্ত আছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, জেলে থেকেও তো একজন মানুষ যোগাযোগ রাখতে পারেন। জেল দিয়ে কী কোনোদিন কারও রাজনীতি বন্ধ করা যাবে- যদি তিনি আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ হন, দেশপ্রেমিক হন। গোপনে তিনি চিঠি লিখে পাঠালেন- কর্মীদের নির্দেশনা দিলেন। এটা করো, সেটা করো। আমি সেটা মিন করেছি। সেটা তিনি করতেই পারেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ায় কৃষকের আয় কমে যাবে, তবে কৃষিপণ্যের উৎপাদন কমবে না। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় কৃষিতে কিছুটা প্রভাব তো পড়বেই। ফসলে পানি দিতে না পারলে উৎপাদন কম হবে। হয়তো চাষীদের কষ্ট হবে, তার আয় কমে যাবে। তার যে লাভ হওয়ার কথা, সেটা হবে না।
মন্ত্রী বলেন, সব অর্থনৈতিক কর্মকা-ে জ্বালানির প্রয়োজন আছে। কৃষি যেহেতু আমাদের একটি মৌলিক বিষয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। সেই হিসেবে বিভিন্ন উপকরণ- সার, রাসায়নিক, পানি, সেচ এগুলোর ওপর আমরা বিভিন্ন প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিয়েছি। এদেশের চাষীরা নিজের বউয়ের গয়না কিংবা গরু বিক্রি করেও সার কিনবেন। জমিতে সার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনোক্রমেই তারা ঝুঁকি নিতে চান না। হয়তো উৎপাদন ওই রকম কমবে না। কিন্তু চাষীরা ব্যক্তিগতভাবে কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কিন্তু সরকারের হাতে এর (বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি) কোনো বিকল্পও নেই।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের কৃষিখাতে যে অগ্রগতি তা অকল্পনীয়। নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধিররা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে ২০০৮ সালে আমাদের তিন মিলিয়ন টন সবজি হতো, বর্তমানে তা ২২ মিলিয়ন টন। পৃথিবীর কোন দেশে ১৩ বছরে সবজির উৎপাদন এতো বাড়েনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।