পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ২২ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি-দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট (অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার) এম. আজিজ খান এ নোটিশ দেন। নোটিশের প্রাপক নির্বাচন কমিশন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার।৭ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব না এলে উচ্চ আদালতে রিট করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে নোটিশে। আব্দুল আজিজ ওয়ান-ইলেভেন সরকার আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। বর্তমানে তিনি সংস্থাটির পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন।
নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল (মঙ্গলবার) অ্যাডভোকেট এমএ আজিজ খান ইনকিলাবকে বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে মো: সাহাবুদ্দিনের কোনো ধরণের অযোগ্যতা নেই। আদালতের রায় ও সংবিধান অনুযায়ী দুদক কমিশনারের প্রেসিডেন্ট হতে আইনি কোনো বাঁধা নেই। তিনি এমন দাবিও করেছেন যে, মো: সাহাবুদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। বরং তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রশ্নে অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি করা হলে সেটি হবে অনাকাঙ্খিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নোটিশে এ সংকান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি বলেছি, আইন অনুসারে দুদক কমিশনার হিসেবে অবসর গ্রহণের পর লাভজনক কোনো পদে বসতে পারেন না। তিনি নির্বাচিত হোন কিংবা নিয়োগ লাভ করুন-উভয়টির গন্তব্য একই। পদে আসীন হওয়া। উদ্দেশ্য যেহেতু এক, তাই তিনি নির্বাচিত হলেন নাকি নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন-এটি কোনো প্রশ্ন নয়। তার নির্বাচন প্রক্রিয়াও আইনানুগ হয়নি। কি প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন- সেটি সংবিধান এবং আইনে বলা আছে। কিন্তু সে অনুযায়ী এ নির্বাচন হয়নি। এখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। এ ক্ষেত্রে ১৯৯৬ সালের সাহাবুদ্দীন আহমদ বনাম আবু বকর সিদ্দিক মামলাটির রায় প্রযোজ্য নয়। এ ছাড়া দুদক আইনওতো আপনাকে মানতে হবে। আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে যে, কর্ম অবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের লাভজনক কোনো পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হবেন না।
আব্দুল আজিজ খান বলেন, সিইসি বিষয়টি এভাবে জাস্টিফায়েড করার চেষ্টা করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট পদে যদি মো: সাহাবুদ্দিন অযোগ্য হতেন, তাহলে এটি নিয়ে রিট হতো। তার মানে এখনও বিষয়টি নিয়ে রিট হয়নি। কিন্তু যেহেতু বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত ব্যাখ্যা আসতে পারে আদালতের কাছ থেকে। নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও আইনের ব্যখ্যা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ নয়। নোটিশে বিষয়টি আদালতে রেফার করার কথা বলেছি। হাতে সময় কম। এ কারণে ৭ দিন সময় সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কাঙ্খিত প্রতিকার না মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে-মর্মেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয় নোটিশে।
প্রসঙ্গত: অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো: সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামি ২৩ এপ্রিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হলে মো: সাহাবুদ্দিন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য এ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।