Inqilab Logo

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঘোষণার পর প্রাথমিকের বৃত্তির ফল স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণার চার ঘণ্টার মাথায় ‘যান্ত্রিক ও কারিগরি ত্রুটির কারণে’ তা স্থগিত করার কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আমরা দুপুরে বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল দিয়েছিলাম। পূর্ণাঙ্গ ফলাফল তো প্রকাশ করতে পারিনি। এখন যান্ত্রিক কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছে; তাই ফল স্থগিত করা হল। বুধবার দুপুরের মধ্যে পুরো ফল প্রকাশ করা হবে।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী জানান, এবার ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) ৩৩ হাজার জন এবং ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জনকে এবার বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
ট্যালেন্টপুল বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে পাবে। তাছাড়া উভয় ধরনের বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি বছর ২২৫ টাকা করে এককালীন দেওয়া হবে।
সন্ধ্যায় ফল স্থগিতের পর এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, ফলাফলে যারা বৃত্তি পাচ্ছে তাদের সংখ্যা একই থাকবে, কোনো হেরফের হবে না। যান্ত্রিক ত্রুটি শেষ করে কালকে (বুধবার) দুপুরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল দেওয়া হবে।
পঞ্চম শ্রেণি পেরিয়ে মাধ্যমিকে পা রাখা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারা কারা সরকারি বৃত্তি পাবে, তা নির্ধারণে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা হয়। সারা দেশের ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী তাতে অংশ নেয়। দেশের প্রতিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মোট শিক্ষার্থীর ২০ শতাংশকে এবার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা হয়। মোট নম্বর ছিল ১০০; সময় ছিল ২ ঘণ্টা।
এভাবে আলাদা করে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হত এক যুগ আগে। ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হওয়ার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক সমাপনীর ফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। মহামারীর কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। পরে জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম যেহেতু চালু হচ্ছে, সেহেতু সমাপনী পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না। এ পরিস্থিতিতে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে ২০২২ সালের শেষে আবারও আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ