পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটের (জেডিসি) সব সূচকে ইতিবাচক ফলাফলে খুশি হলেও তাতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সব সূচকেই ইতিবাচক ফল দেখা যাচ্ছে। তারপরেও একে আমরা সন্তুষ্টির কথা বলছি না। অবশ্যই আমরা খুশি হয়েছি, দেশবাসী খুশি হলে আমরা আরও বেশি খুশি হব। নাহিদ বলেন, আমাদের লক্ষ হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক-উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলা। ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করা। তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েদের মান বেড়েছে, কিন্তু বর্তমান যুগে আমাদের চাহিদা অনুসারে যে মান দরকার, বিশ্ব মানের সমতা অর্জন করা দরকার, তার থেকে আমরা অনেক পিছনে আছি। সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছেলে-মেয়েদের মান উন্নত করা। সেজন্য গুণগত মানসম্মত নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক দরকার, সেই চেষ্টা অব্যাহত আছে। প্রশ্ন ফাঁসের নামে একটা গোষ্ঠী লাভবান হয় উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ৫ হাজার থেকে তিন লাখ টাকায় ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে। ফেইসবুকে ভুয়া প্রশ্ন দিয়ে দিচ্ছে, শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা চ্যালেঞ্জ পড়ছে। প্রশ্ন ফাঁস রোধে বিজি প্রেসে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ২৪ ঘণ্টাই সজাগ থাকতে হবে। জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরে নাহিদ বলেন, এই পরীক্ষার গুরুত্ব তারাই উপলব্ধি করবেন যারা বাংলাদেশকে বুঝতে পারেন। বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে গবির মানুষদের মধ্যে অর্ধেক স্কুলেই আসত না, পঞ্চম শ্রেণির আগে ৪৮ শতাংশ এবং নবম শ্রেণি পাসের আগে ৪২ শতাংশ ঝরে পড়ত। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে সমাপনী পরীক্ষায় বসে শিক্ষার্থীরা এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষাকে স্বাভাবিক মনে করে বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এস এম ওয়াহিদুজ্জামান ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।