পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার শতভাগের কাছাকাছি নিতে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে আলাদা কোনো নির্দেশনা থাকার কথা নাকচ করে দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, লোকমুখে তো নানা কথাই হয়। সমাপনী পরীক্ষায় ঢালাও পাসের হার নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা রয়েছে, অনেকে শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। খাতায় লিখতে না পারলেও শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ প্রশ্ন তিনি আগেও শুনেছেন, কিন্তু এর কোনো বাস্তবতা পাননি। আমার তিন বছরে আমি (নির্দেশনা) দেইনি। এ বিষয়ে আপনাদের স্পষ্ট করে আমি বলছি, এ ধরনের কোনো ইন্সট্রাকশন নাই যে কোনো স্কুলে শতভাগ পাস না করলে কোনো অসুবিধা বা অন্য কোনো কিছু হবে। যেখানে যেটা হবে সে রেজাল্টই আমরা ওখানে দেব, এখানে বানানো কোনো রেজাল্ট নাই। মোস্তাফিজ বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এর আগে দায়িত্ব পালন করা দু-তিনজন সচিবও তাকে জানিয়েছেন এ রকম কোনো নির্দেশনা তারা কখনই দেননি। তারা বলেছেন, এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না, আমরাও কোনো নির্দেশনাও দেইনি। সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকলে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সরকারি প্রাথমিকে পাসের হার কম কেন-এমন প্রশ্নে ফিজার বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি সব সময় হয় না। তারপরেও প্রত্যাশা পূরণের পথে সরকার কাজ করছে। সব জায়গাই সমানভাবে আমরা দেখব, সবাই যেন একই মানের হয়, সেই আশা নিয়েই তো আমরা কাজ করছি। একটি ‘জ্ঞানভিত্তিক সমাজ’ গড়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারি স্কুলের সংখ্যা অনেক বেশি। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট দুই কোটি বাচ্চা স্কুলে গেলে আমাদেরই (সরকারি প্রাথমিকে পড়ুয়া) এক কোটি ৮০ লাখ। তারপরেও আমরা পাশাপাশি আছি। কিন্ডারগার্টেন, ভিকারুন নিসা- এদের রেজাল্টের থেকে কতটুকু পেছনে আমরা আছি? এক ভাগ কমবেশি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকে যে স্বল্পতা রয়েছে তা শিগগিরই পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। সরকার সিদ্ধান্ত দিলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে আসবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সে অনুযায়ী আমাদের যত প্রকার উদ্যোগ আছে তার সবগুলোই নিয়েছি- পাঠ্যক্রম তৈরি করা, অবকাঠামোগত কী লাগবে সেগুলোর প্রক্রিয়া করা, এসব করে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।