Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থার্টিফার্স্ট নাইটে রাজধানীতে তিনস্তরের নিরাপত্তা : নিয়োজিত থাকবে ১০ হাজার পুলিশ সদস্য

| প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : থার্টিফার্স্ট নাইটকে ঘিরে রাজধানীতে গড়ে তোলা হচ্ছে নিরাপত্তা বলয়। এ জন্য পোশাক ও সাদাপোশাকে প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য নিরপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। যাতে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কারও বা কোনো জঙ্গি সংগঠনের হামলা করার কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া একথা বলেন। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে কোথাও কোন আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। কোন উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উৎযাপন উপলক্ষে নাচ, গান বা কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রাজধানীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ৮টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকার আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসব স্থলে সাধারণ জনগণের লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না।  রাস্তার ওপরে বা ফ্লাইওভারে কোনও ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি না থাকলে বাড়িতে বা ছাদে পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে থার্টিফার্স্ট উদযাপন করা যাবে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের থার্টিফার্স্ট নাইটে রাত ৮টার মধ্যে নিজ এলাকায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর বহিরাগত কোন ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঢাবির আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দেওয়ার মাধ্যমে নিলক্ষেত ও শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলি ক্রসিং এবং আমতলি ক্রসিং উন্মুক্ত থাকবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে এ দুটি ক্রসিংয়ে যাতায়াত করতে পারবে। রাত ৮টার পর থেকে হাতিরঝিল এলাকায় কেউ অবস্থান করতে পারবেন না। গুলশান, বনানী এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় পাঁচ তারকা হোটেল বিদেশিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা থাকবে। রাত আটটার পর থেকে হাতিরঝিল, গুলশান, বনানীতে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ থাকবে। তবে এসব এলাকায় স্টিকারযুক্ত গাড়ি বিশেষ কারণে ব্যাখ্যা দিয়ে ঢুকতে পারবে। আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম, রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার, ট্রাফিক উত্তর ও দক্ষিণের ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের গোপন নথি গার্মেন্টসে
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি গোপন নথি পাওয়া গেছে নগরীর একটি তৈরি পোশাক কারখানায়। বুধবার রাতে নগরীর হালিশহর নয়াবাজারে আল-আমিন মেরিটাইম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপারেলস ফ্যাশন নামে ওই কারখানা থেকে এসব গোপন নথি উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই কারখানায় অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল। অভিযানে প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষের আসবাবপত্রের ভেতর থেকে ৬৫টি গোপন নথি উদ্ধার করা হয়।
নথিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায় এগুলো চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের। এরমধ্যে ১১টি নথি ব্যাংক গ্যারান্টি সংক্রান্ত, ৪৩টি বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার এবং ১২টি নথি শুল্কায়ন ও অন্যান্য সংক্রান্ত।
ব্যাংক গ্যারান্টি এবং বিচারাধীন মামলার মত স্পর্শকাতরবিষয়ক ফাইল কীভাবে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে গেল সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। কাস্টম হাউসে প্রবেশের সকল গেইট বন্ধ করে দিয়ে পকেট গেইট দিয়ে লোকজনকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এ সময় কাস্টম হাউসে আসা লোকজনদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
কাভার্ড ভ্যান বোঝাই পলিপ্রোপাইলিন আটক
বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাভার্ড ভ্যান ভর্তি পলিপ্রোপাইলিন (পিপি) ঢাকায় নেয়ার পথে আটক করেছেন চট্টগ্রামের শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা। বুধবার রাত ১১টার দিকে কাভার্ড ভ্যানটিকে চালকসহ আটক করা হয় বলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গোপন খবর পেয়ে তাদের একটি দল বুধবার রাতে নগরীর দুটি স্থানে অবস্থান নেয়। কোরবানিগঞ্জ এলাকায় রাত ১১টার দিকে পণ্য ভর্তি কাভার্ড ভ্যানটির গতিরোধ করা হয়। সেসময় পণ্য আমদানির কাগজপত্রে অসামঞ্জস্য দেখা দেয়ায় কভার্ড ভ্যানটি আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে নেয়া হয়।
মইনুল খান জানান, বন্ড সুবিধায় আনা এসব পণ্য নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল কভার্ড ভ্যানটি। কোরবানিগঞ্জের আশপাশের কোনো এলাকা থেকে সম্ভবত পণ্যগুলো নিয়ে গাড়িটি রওনা হয়েছিল। পণ্যগুলো কোন প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। ২১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া মাসব্যাপী এনফোর্সমেন্টের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয় বলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ