পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে করা টাকার আরও অবমূল্যায়নের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ইতোমধ্যেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান বেশ কমানো হয়েছে।
গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল দেখা করে এ প্রস্তাব দিয়েছিল। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা রাজি হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, ডলারের সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়ন করা হলে রফতানি আয় অনেক বেড়ে যাবে। এ যুক্তি দেখিয়ে বিজিএমইএ নেতারা টাকার অবমূল্যায়নের দাবি জানান। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো অবস্থায় এখন টাকার অবমূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।
বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা তৈরি পোশাকশিল্পে সরকার প্রদত্ত নগদ সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অডিট ব্যবস্থা থেকে নিস্কৃতি দেয়ার দাবি জানান।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি তৈরি পোশাকশিল্পে বিদ্যমান অবস্থা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি তৈরি পোশাকশিল্প খাতের ছোট ছোট কিছু প্রতিষ্ঠানের নগদ সহায়তার ১০ কোটি টাকা আটকে থাকার কথা তুলে ধরেন। এ ছাড়া তারা নগদ সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালায় দুটি শব্দ প্রতিস্থাপনের দাবি জানান। এর মধ্যে স্বীয় প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে দেশীয় প্রতিষ্ঠান এবং বস্ত্র মূল্যের পরিবর্তে এফওবি মূল্য প্রতিস্থাপনের দাবি জানান।
জানা গেছে, নগদ সহায়তার ক্ষেত্রে এ দুটি শব্দের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কম সহায়তা পাচ্ছে। শব্দ দুটি প্রতিস্থাপন হলে নগদ সহায়তার পরিমাণ প্রায় এক শতাংশ বেড়ে যাবে। এ ছাড়া অডিট ব্যবস্থার কারণে নগদ সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা দেখা দেয় বলে অভিযোগ করেছে বিজিএমইএ।
সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রী তাদের দাবিগুলো শোনেন। তিনি নগদ সহায়তার নীতিমালা পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও নগদ সহায়তার বকেয়া অর্থ পরিশোধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে রফতানি আয়ের ওপর বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তা দেয়ার জন্য জন্য প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।