Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রিজার্ভ চুরি : সন্দেহ আইটি টেকনিশিয়ানদের ঘিরে

| প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনার তদন্তে পুলিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন আইটি টেকনিশিয়ানের উপর নজর দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি (সিআইডি) শাহ আলমকে উদ্ধৃত করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বার্তা সংস্থাটি এই খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইটি টেকনিশিয়ানরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লেনদেন পদ্ধতিকে ‘পাবলিক ইন্টারনেটের’ সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে হ্যাকারদের সুযোগ করে দিয়েছিল বলে ওই তদন্ত কর্মকর্তার সন্দেহ।
আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং লেনদেনের মেসেজিং নেটওয়ার্ক সুইফটের জন্য ব্যবহার্য একটি ‘পাসওয়ার্ড টোকেন’ কয়েক মাস ধরে সুইফট সার্ভারে লাগানো থাকার বিষয়টিতে তারা এখন নজর দিচ্ছেন। “প্রতিদিনের কাজ শেষে এটা (পাসওয়ার্ড টোকেন) খুলে নিরাপদ একটি ভল্টে রাখার কথা ছিল,” শাহ আলমকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়। বার্তা সংস্থাটিকে সিআইডি’র এই কর্মকর্তা বলেন, ওই জিনিসটি খুলে না রাখায় হ্যাকাররা সিস্টেমে ঢুকে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর সুযোগ পায় এবং পরে সেখান থেকে ভুয়া পরিশোধের আদেশ পাঠায়।
তবে সার্ভারে সংযুক্ত সুইফট সিস্টেমকে সংরক্ষিত রাখার জন্য ব্যবহৃত ওই টোকেন অরক্ষিত রাখার জন্য কে দায়ী তা জানা যায়নি বলে তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত অর্ধ ডজন ব্যাংক কর্মকর্তা একসঙ্গে ওই টোকেন সুরক্ষিত রাখার দায়িত্বে ছিলেন।
তবে শাহ আলমের এসব দাবির সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে রয়টার্স বলেছে। এতে বলা হয়, “কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আলমও তার দাবির সমর্থনে আর কোনো তথ্যও দেননি।”
তদন্ত শেষ না হওয়ায় এবং আরও কিছু ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে রয়টার্সকে বলেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
রয়টার্স বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা, যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই ও সুইফট- কেউই এবিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভুয়া সুইফট মেসেজ পাঠিয়ে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের এক ব্যাংকে সরিয়ে নেয় হ্যাকাররা। জুয়ার টেবিল হয়ে ওই টাকা মিশে যায় ফিলিপিন্সের অর্থবাজারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ