পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত সহপাঠী আহত
নিজের মোটরসাইকেলে চেপে মুগদা ইসলামিক ইউনিভার্সিটি যাচ্ছিলেন মো. ওমর ফারুক পলক। একই মোটরসাইকেলের পেছনে ছিলেন তার সহপাঠী জুয়েল রানা। কেরানিগঞ্জ জিনজিরা হয়ে নিজেদের ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তারা যাত্রাবাড়ি থানাধীন কাজলার ভাঙা ব্রীজ এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময় বেপরোয়া গতির একটি যাত্রীবাহি বাস তাদের মোটরসাইকেলের পেছন থকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন পলক ও জুয়েল। বাসের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক পথচারীও আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় মোটরসাইকেলের পাশেই পড়ে থাকেন পলক ও জুয়েল। কিছুক্ষন পর স্থানীয়দের সহায়তার এক রিকশাচালক তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ওমর ফারুক পলককে মৃত বলে ঘোষনা করেন। আর ডান হাঁটুতে গুরুতর আঘাত নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জুয়েল।
নিহত ওমর ফারুকের দ‚রসম্পর্কের মামা নাদিম হোসেন বলেন, ওমর ফারুক পলক ও জুয়েল রানা দুজনেই মুগদা বেসরকারি ইসলামিক ইউনিভার্সিটির বিবিএর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে আহত জুয়েল রানা জানান, তিনি রাজধানীর নারিন্দায় থাকেন। আর পলক থাকতেন কেরানীগঞ্জের জিনজিরায়। গতকাল পলক তাকে নারিন্দা থেকে মুগদার ক্যাম্পাসে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ভাঙ্গা ব্রীজ এলাকায় আশিয়ান সিটি পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস মোটরসাইকেলটির পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মারা যান পলক। নিহত ওমর ফারুক পলকের বাবার নাম মমিনুল হক। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার উত্তর ইদু খালি। তারা জিনজিরা এলাকায় থাকেন।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রিকশাচালক রিয়াদ ফকির বলেন, যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোডের ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় মোটরসাইকেলসহ তারা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি। আশপাশের লোকজনের কাছে শুনেছি, একটি বেপরোয়া গতির বাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেছে।
যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুল আলম বলেন, ঘটনার পর পরই বাস নিয়ে পালিয়ে গেছে এর চালক। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আশিয়ান সিটি পরিবহণের বাস তাদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে খুব কাছাকাছি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা না থাকায় বাসটিকে শনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং বাসটি জব্দ করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।