পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজের দুই পুত্রের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক কর্মকর্তার চামড়া তুলে নেয়ার হুমকি দিলেন ক্ষমতাসীন সরকারের শরিক তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। দুদক কর্মকর্তার বাড়ির ইট খুলে নেয়ারও হুমকি দেন তিনি। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মুখ খোলায়েন না, মুখ খুললে অসুবিধা হয়ে যাবে।
গত সোমবার রাতে ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবারের ময়দানে এক আলোচনা সভায় দেয়া তার এ বিতর্কিত বক্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নজিবুল বশরের দুই ছেলে সৈয়দ তৈয়বুল বশর ও সৈয়দ আফতাবুল বশরসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে- প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে সৈয়দ তৈয়বুল বশর ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর ২০ কোটি টাকা এবং সৈয়দ আফতাবুল বশর ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা শর্তসাপেক্ষে পাঁচবছর মেয়াদী ঋণের জন্য আবেদন করেন।
নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, আবেদনের দুইদিন আগেই প্রাইম ফাইন্যান্সের বোর্ড সভায় ঋণ দুটি অনুমোদন হয়। এছাড়া ঋণ মঞ্জুরে নানা অনিয়মও হয়েছে। নথিপত্র পর্যালোচনা করে দুদক আরো দেখতে পায়, ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটানোর জন্য তারা এই ঋণ নেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন কর্মকর্তাসহ এমপি পুত্রদ্বয় ঋণের শর্ত ভঙ্গ করে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
এ মামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়েন নজিবুল বশর। তিনি বলেন, মামলা করেছে, কী মামলা? ৩৯ কোটি টাকা, এর চেয়ে কিছু বেশি। ধরেন, ৪০ কোটি টাকা নিলাম। এর মধ্যে ১০ কোটি টাকা জমা দিলাম, তাহলে সেটি কী আত্মসাৎ হয়? ১০ কোটি টাকা যে জমা হয়েছে দুদক সেটা মামলায় উল্লেখ করেনি। দুদক নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে চিনে নাই, যা-তা কমেন্ট করতেছে সহকারি পরিচালক, চামড়া সব তুলে ফেলব। মাইজভাণ্ডারের গায়ে হাত!
দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খানের নাম উল্লেখ করে তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কমিশনার মোজাম্মেল সাহেব, আপনি স্বাক্ষর করেছেন। শোনেন আপনার বাড়ি মাদারীপুর। আমি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বলেছিলাম, মাইজভাণ্ডার ভক্তদের বললে আপনার বাড়ির একটা ইটও থাকবে না, যদি আমরা ফতোয়া দিই, তোমার বাড়ির ইট সব খুলে নিয়ে আসবে। একই কথা আপনাকেও (দুদক কমিশনার) বলছি।
মামলায় কিছুই হবে না এমন দম্ভ করে নজিবুল বশর বলেন, আমি জানি, এই মামলায় কিছুই হবে না। আমার ছেলে বলছে, এই মামলায় কী হবে জানি না। আমি জানি এই মামলা মরা, কিছুই হবে না। মিডিয়া শুধু শুধু তিরঞ্জিত করে ফেলতেছে। আমরা টাকা মেরে খাই নাই। এখানে দুদক যা বলে তা। আর কেউ এটি নিয়ে কথা বলতে পারবে না। দুদক চরিত্রহনন করছে, এটা ঠিক হচ্ছে না। দুদকের সঙ্গে কে জড়িত সেটি সরকার বের করুক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে সহযোগিতা করতে বলেছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, সহযোগিতা তো করেছি। এখনো করে যাচ্ছি। কওমি মাদরাসার সাথে গণ্ডগোল, আমি সরকারকে সহযোগিতা করেছি। করি নাই? সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি কী অবস্থা করেছিল? আমেরিকা কি করেছিল? সেটি ঠেকিয়েছে কে? সরকার আপনি? একমাসও হয়নাই আপনার সাথে আমার কথা হয়েছে। আমি আপনাকে বলেছি, এবারও আপনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, নির্বাচন হয়ে যাবে। বিএনপিকে ঘরে ঢোকানো সম্ভব, নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে না। এটা ১৯৯১ সাল না, ২০২৩ সাল। ওইদিন চলে গেছে। সরকার আসবে-যাবে, আমার অবস্থান ঠিক থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।